হাওড়া: পয়গম্বর বিতর্কের আঁচে উত্তপ্ত হাওড়া। বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় অবরোধ, বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলেছে জেলাজুড়ে। পথ অবরোধের পাশাপাশি রেললাইনে অবরোধ, ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করার নির্দেশ দিল মহকুমা প্রশাসন। হাওড়ার বিক্ষোভের আঁচ উলুবেড়িয়াতেও ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। গোটা উলুবেড়িয়া মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত সবরকম জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাওড়ার ডোমজুড়, ধুলাগড়, সলপ-সহ একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বৃহস্পতিবার থেকে। তার আঁচ উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারে। উলুবেড়িয়ার জাতীয় সড়ক, রেলস্টেশনে বিক্ষোভ ছড়ানোর আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। মহকুমা থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৫ জুন পর্যন্ত একসঙ্গে বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না। কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। অশান্তি এড়াতে সোমবার পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রশাসন।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। তারপরই বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় ট্রেন অবরোধ, সড়ক অবরোধে চরম দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। পাঁচলায় দফায় দফায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ডোমজুড় থানায় ভাঙচুর চলে। পাঁচলা, উলুবেড়িয়ায় বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগানো হয় বলেও খবর এসেছে।
আরও পড়ুন: Barabati stadium: নুতন সাজের মাঝেও সুজনের মন ভালো নেই!
বৃহস্পতিবার হাওড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথ অবরোধের পর মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন এ ধরণের প্রতিবাদ না জানানোর জন্য। তাঁর নির্দেশ উপেক্ষা করেই শুক্রবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলে।