কেতুগ্রাম: কেতুগ্রামে নার্স রেণু খাতুন কব্জি কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবিকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিস। সোমবার কেতুগ্রামের চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। নার্সের কব্জি কাটার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে। মঙ্গলবার তাদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তবে এখনও মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী সরিফুল শেখ এখনও অধরাই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার স্ত্রী নার্সের চাকরি পাওয়ায় হাত কেটে দেয় স্বামী। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই সন্দেহেই ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। কারণ স্বামী সরিফুল আদতে কোনও কাজ করেন না। ঘরে বেকার বসে রয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ রেণু খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডানহাতের কব্জি থেকে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও-সহ গা ঢাকা দেয় স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল শেখ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মমতার কর্মিসভায় ভিড় জমছে আলিপুরদুয়ারে, ‘অস্পৃশ্য’ পরেশ অধিকারী?
২০১৭ সালে যখন বিয়ে হয় প্রায় তখন থেকেই বেকার সরিফুল। অপরদিকে রেণু খাতুন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। কেতুগ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী’র সঙ্গেই ওই হাসপাতালে থাকত সরিফুল। কিন্তু তখন থেকেই সরকারি চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেণু। অবশেষে সফলও হন। সরকারি নার্সের চাকরির প্যানেলে তাঁর নাম ওঠে।
তারপর থেকেই সরিফুল ও তার পরিবার বেঁকে বসে। ঘটনার দিন দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ইস্তফা দিয়ে প্রথমে নিজের বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান রেণু। বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর স্বামী বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খানাপিনায় মশগুল। এমনিতেই সরকারি চাকরি করতে না দেওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। সে কারণে কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রেণু। ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর এত বড় সর্বনাশ করবে স্বামী।