জলপাইগুড়ি: দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই তার আগে সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বনে কোনও খামতি রাখতে চায়না জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। সেই বিষয়েই শনিবার জেলাশাসকের নির্দেশে জলপাইগুড়ি পুরসভাতে অনুষ্ঠিত হল এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক। এদিনের বৈঠকে সদর মহকুমা শাসক, পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য, পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা ছিলেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং টোটো চালক ইউনিয়নের সদস্যরাও এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের শেষে চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা এখন চলছি। আগামীতে যদি তৃতীয় ঢেউ আসে, সেই বিষয়ে কি কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়েই মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়।“
আরও পড়ুন: ইউরোপের ১৬টি দেশে ছাড়পত্র পেল কোভিশিল্ড
তিনি আরও বলেন, “শহরের বিভিন্ন বাজারে ভিড় বাড়ছে। তাই ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে যাতে এলাকাগুলিতে মানুষ যাতে করোনাবিধি মেনে চলে। সেই দিকে নজর রাখতে হবে।“ পাশাপাশি টোটোতে নিয়ম মেনে যাতে চলাফেরা করা যায় সে বিষয়টিও উঠে আসে এদিনের বৈঠকে। আগামিদিনে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, প্রশাসনিক লেভেলে নাকা চেকিং করার একটি পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান চেয়ারপার্সন। সেক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠন করে ওই অভিযানে নামা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের ভিড় দিঘা ডুয়ার্সে, কোভিড প্রোটোকল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
সম্প্রতি আরটিপিসিআর টেস্ট ছাড়া দিঘা, দার্জিলিং বা ডুয়ার্সের মত পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ করেছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। পর্যটকদের হোটেলে থাকার জন্য ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। হোটেল রিসোর্টগুলিকে জানানো হয়েছে কোনও পর্যটককে হোটেলে কিংবা লজে ঘর ভাড়া দিতে গেলে ৭২ ঘন্টা আগে করানো কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা নিতে হবে।
শুধু তাই নয়, কোভিড সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি চলছে দার্জিলিঙেও। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট এবং ভ্যাকসিন এই দুটোর মধ্যে একটিও না থাকলে কোনও ভাবেই হোটেলে ঢোকা যাবে না। দিঘা, মন্দারমনি, দার্জিলিং, ডুয়ার্সের মতই নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শান্তিনিকেতনেও।