পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের (Jhalda Murder) ঘটনায় ধৃত কলেবর সিংয়ের ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল পুরুলিয়া জেলা আদালত। পুলিস সুত্রে খবর, কলেবর এই খুনের ঘটনায় অন্যতম চক্রী। এর আগে ধৃতের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক ডাকাতি সহ একাধিক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতের টিআই প্যারেড করানো হবে। কলেবরের পক্ষে কোনও আইনজীবী না থাকায় ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড থেকে আইনজীবী দেওয়া হয়।
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘এই ঘটনায় মাত্র ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আরওপ অনেকে যুক্ত। তাদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে। আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেই আমার মূল অভিযোগ। বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও তাঁকে আইসির পদ থেকে সরানো হয়নি। তাই আমি সিবিআই তদন্ত চাইছি।’ বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানা এলাকা থেকে খুনের অন্যতম চক্রী কলেবরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়িও ওই এলাকাতেই।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu: সিবিআইকে দিয়ে তপন কান্দু খুনের তদন্ত চাই, দ্রুত শুনানির আর্জি হাইকোর্টে
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। তপন খুনের কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিস। দীপক কান্দু পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তপনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে তিনি নির্বাচনে হেরে যান। তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় দীপকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়।