ঝালদা: ঝালদা পুরসভায় শপথ নিতে যাওয়ার সময় পুলিস হেনস্তা করেছে তাঁকে। এমনটাই অভিযোগ তুললেন মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি ঝালদা জেলা পুলিস সুপারকে মেল করে এই অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্ণিমা কান্দু গত ৫ এপ্রিল ঝালদা পুরসভায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বেশ কিছু সমর্থক। পুরসভার গেটের কাছে পৌঁছতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করে। পুরসভায় ঢুকতে বাধাও দেওয়া হয়। এদিন জেলা সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রমাণ সপক্ষে ভিডিয়োও দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন এই চিঠিতে। একইসঙ্গে তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি করেছেন।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu Murder CBI: তপন কান্দু হত্যার কেস ডায়েরি নিল সিবিআই
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এরপরেই তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নেন। ৫ এপ্রিল তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়েই তাঁকে পুলিসকর্মীরা হেনস্তা করে বলে অভিযোগ।