মগরাহাটঃ মগরাহাটের মাগুরপুকুরে জোড়াখুন (Magrahat Murder) কাণ্ডের পর থম থমে গোটা গ্রাম।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। নিহতদের বাড়ির সামনে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে।গ্রামবাসীদের দাবী, অবিলম্বে মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লাকে গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মগরাহাট থানার পুলিস।
শনিবার রাতে সকালে সকাল ৮টা নাগাদ বরুণ বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে খবর আসে, স্থানীয় একটি কারখানায় বরুণকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন ছুটে যান ওই সার কারখানায়। দেখা যায়, বরুণ এবং আর এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। কী কারণে এই খুন, বরুণের পরিবার জানাতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় গরু কেনাবেচার জন্য হাট বসে। সেখানেই গিয়েছিলেন বরুণ। কী কারণে তিনি হাটে যান, তাও পরিষ্কার নয়। কড়া পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার মাগুর পুকুরে নিজের বাড়িতে আনা হল নিহত সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাখালের দেহ।
এলাকার বাসিন্দদের মধ্যে কারও কারও অভিযোগ, স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী এলাকার যুবকদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছে অনেক বছর ধরে। সেই যুবকদের মধ্যে অনেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পেয়েছেন। অনেকে পাননি। বরুণও সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি পাওয়ার আগে ওই দুষ্কৃতীদের টাকা দিয়েছিলেন। একটি সূত্রের দাবি, সেই টাকা ফেরত দিতেই এদিন ওই দুই যুবককে সার কারখানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।