জলপাইগুড়ি: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্তে ময়নাগুড়িতে (Mainaguri Train Accident) পৌঁছল ফরেন্সিক দল। ১২ জনের একট ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে পড়েছে। বিকানের ( Jainaguri Local Train) দুর্ঘটনায় ২৬০ মিটার রেলট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ট্র্যাক থেকে ফরেন্সিকের জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। লোকো ইঞ্জিনটিরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে বিশেষজ্ঞ দলটি।
বিকানের এক্সপ্রেসের (Mainaguri Local Train) দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিনটিকে শনিবার বিকেলেই আলিপুরদুয়ারে জংশনে সরিয়ে আনা হয়েছিল। সেখান থেকে পরে ইঞ্জিনটিকে সরিয়ে দোমোহনীতে রাখা হয়। সূত্রের খবর, রেলট্র্যাক পরীক্ষা শেষ করে, দোমোহনীতে রাখা ইঞ্জিনটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন ফরেনিস্ক আধিকারিকরা। ইঞ্জিন থেকে তাঁরা ফেরন্সিকের জন্য নুমনাও সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনটির যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। তার পরেই সেটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতীয় রেলের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, কমিশনার অফ রেলেওয়ে সেফটি বোর্ডের তদন্ত চলার সঙ্গেই ফরেন্সিককে দিয়ে আলাদা করে তদন্ত করানো হবে। সেই মতোই সোমবার ফরেন্সিক শুরু হল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ময়নাগুড়ির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অসমমুখী আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪২ জন। রেল দুর্ঘটনার পরদিন ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রাথমিক তদন্তের উল্লেখ করে ঘোষণা করেন, যান্ত্রিক ত্রুটিতেই দুর্ঘটনা। সেইসঙ্গে তিনি এ-ও জানান, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বোর্ডের তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। রেলমন্ত্রককে রিপোর্ট দেবে সেফটি বোর্ড।
আরও পড়ুন বন্ধ থাকছে বাগডোগরা বিমানবন্দর, জেনে নিন কবে থেকে?
চিফ অফ রেলওয়ে সেফটি লতিফ খানের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি টিম রেল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অফিসে ইতিমধ্যে ২৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক, গার্ড ছাড়াও উদ্ধারকারী দলের আধিকারিক, স্বেচ্ছাসেবী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান গ্রহণ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতরা সুস্থ হয়ে উঠলে, তাঁদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
রেলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাউন লাইন দিয়ে ইতিমধ্যে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আর ১৪-১৫ ঘণ্টার মধ্যে আপ লাইন দিয়েও পুরোদমে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলি যুদ্ধকালীন তত্পরতায় বদলে ফেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ভোট পিছোল পঞ্জাবে, নতুন তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি
আরও পড়ুন শেষের পথে কাজ, দোমহনিতে বসছে কংক্রিটের স্লিপার