বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহড়ে (Susunia Hill Fire) ভয়াবহ আগুন লেগে প্রচুর জীবজন্তুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের৷ শনিবার সন্ধেয় আচমকাই শুশুনিয়া পাহাড়ের মাঝের জঙ্গলে আগুন লেগে যায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। শেষ পর্যন্ত ভোররাতে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বনদফতর। প্রচুর গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে৷ স্থানীয়দের দাবি, আগুনে মৃত্যু হয়েছে জীবজন্তুরও৷
স্থানীয়রাই প্রথম পাহাড়ের উপরের অংশে আগুন দেখতে পান৷ ধীরে ধীরে আগুন নীচে নামতে থাকে৷ এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পাহাড় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে৷ স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের উপরের অংশে গাছের শুকনো পাতা থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। উপরের অংশ আগুন লাগায় আগুন নেভানো বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকল ও বনবিভাগ। রয়েছে পুলিস ও স্থানীয় মানুষ। বাতাস বইছে বলে আগুন ক্রমশ নামছে নীচের দিকে।
আগুন লাগার কারণ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও পর্যটকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন ছাতনার রেঞ্জার ঈশা বসু৷ তিনি বলেন, হঠাৎ করে সেখানে আগুন লাগার কথা নয়৷ আমাদের কর্মীরা বিকেল তিনটে থেকে আগুন নেভানোর কাজ করছে৷ তবে, এক শ্রেণির পর্যটককে বারবার সতর্ক করেও কোনও লাভ হয় না৷ তাঁরা সচেতন না হলে কিছু বলার থাকে না৷
আরও পড়ুন: Susunia Hill Fire: শুশুনিয়ায় বারবার আগুন কেন, ইচ্ছাকৃত না কি দুর্ঘটনা?
রাত ন’টার পরে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে৷ উচু পাহাড়ে জল পৌঁছনো সম্ভব না হওয়ায় শুকনো পাতা সরিয়ে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া চলে দীর্ঘক্ষণ৷ শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়৷ এর আগে বহুবার আগুন লেগেছে৷ গত বছরই পরপর দু’বার আগুন লাগে৷ অন্যান্য বারের মতই আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি৷ ২০২০ সালের মার্চেও শুশুনিয়াতে আগুনে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই আগুন অনেক কষ্টে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রচুর গাছপাতা ও জীবজন্তুর ক্ষতি হয়। শনিবারে আগুনের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যটকেরা বিভিন্ন সময় আগুল লাগিয়ে থাকেন। যার ফল ভুগতে হয় স্থানীয়দের। ক্ষয়ক্ষতি পাহাড়-জঙ্গলের। বহু পশুপাখিরও মৃত্যু হয়।