মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল পরিকাঠামো। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ওই স্কুলবাড়ি। সেই আশঙ্কায় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, মেরামতির জন্য উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কিছুই লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাড়িতেই পড়ুয়াদের নিয়ে চলছে পঠনপাঠন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরও দুই শিক্ষকের প্রচেষ্টায় স্কুলের বাইরেই চলছে ক্লাস।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার ঘোলাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে স্কুলটি তৈরি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনও সংস্কার হয়নি। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ইসমাইল জানান, ১০ বছর আগে খানিকটা মেরামতি করা হলেও দু বছর ধরে লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। আরও বেহাল হয়ে পড়ে পরিকাঠামো।
ঘোলাকান্দি স্কুলে মোট পড়ুয়া সংখ্যা ১৮০। একজন অস্থায়ী এবং একজন স্থায়ী শিক্ষককে নিয়েই স্কুল চালাতেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের এই অবস্থার পর মেরামতির জন্য অনেকবার উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু কোনও সদুত্তর আসেনি। বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে স্কুলে তালা মেরে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। মোট তিনটি জায়গায় পড়ুয়াদের ভাগ করে পঠনপাঠন চালাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলে ক্লাস না হওয়ায় তারা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছে। এখন যেখানে ক্লাস চলছে, সেখানে যেতে গেলে মাঠের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টি হলে কাদা জমে যায় মাঠে। শৌচালয় এর জন্যও অসুবিধা হচ্ছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। এই তীব্র গরমে নানারকম সমস্যায় পড়েছে ঘোলাকান্দি স্কুলের পড়ুয়ারা।