নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে শহীদ দিবস পালনকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। গোকুলনগরের মালপল্লিতে শহীদ দিবস পালনকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র বচসা। বিজেপির বিরুদ্ধে শহীদবেদি থেকে মালা খুলে ফেলার অভিযোগ করে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূল শহীদ তর্পণ কর্মসূচি অশুদ্ধ করেছে। কাজেই তাদের আবার শুদ্ধিকরণ করে বেদিতে মাল্যদান করতে হবে।
সোমবার নন্দীগ্রামে শহীদ দিবস পালনে তৃণমূলের তরফ থেকে সেখানে পৌঁছন রাজ্যসভার সদস্য দোলা সেন, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও সঞ্জয় বক্সী প্রমুখ।প্রথম অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল গোকুলনগরের মালপল্লিতে। সেখানে প্রথমে শহীদবেদিতে মাল্যদান করেন সকলে। পরে গৌরাঙ্গের মূর্তিতে মাল্যদান এবং কীর্তনের আয়োজন করা হয়। সোনাচূড়াতেও ভাঙাবেড়ায় আরও একটি অনুষ্ঠানে শহীদবেদিতে মাল্যদান করে রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলকে টক্কর দিতে তৈরি গেরুয়া শিবিরও। নেতৃত্বে খোদ শুভেন্দু। বিজেপির তরফে নন্দীগ্রামের গণহত্যার বর্ষপূর্তিতে জোড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হবে অধিকারী পল্লিতে। দ্বিতীয়টি হবে সোনাচূড়ায়। দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে, অনুষ্ঠান শুরুর মুখেই বিপত্তি। গোকুলনগরের মালপল্লিতে তৃণমূলের মাল্যদানের পরেই শুরু হয় দুই দলের বচসা।
আরও পড়ুন- Nandigram Dibas: নন্দীগ্রাম দিবসে কৃষকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট মমতার
১৪ মার্চ, ২০০৭ সালে এই দিনেই নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিল পুলিস। তার পরের বছর ২০০৮ সাল থেকেই এই দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। এই আন্দোলনে মুখ হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে, গত বছর এই নন্দীগ্রাম দিবসের দিন থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর শিবির বদলের ক্ষেত্রে কিছুটা বদল দেখেছে নন্দীগ্রাম তথা বঙ্গবাসী।
এখন সেই শুভেন্দু নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই এখন নন্দীগ্রাম দিবস পালনে নন্দীগ্রামেই বেগ পেতে হয় তৃণমূলকে। তবুও এই কর্মসূচি পালনে বিরোধী বিজেপি-কে নন্দীগ্রামের জমি ছাড়তে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।