বর্ধমান: আজকের এই স্বাধীনতা হয়তো আমরা কোনদিনই পেতাম না যদি তিনি আমাদের জন্য লড়াই না করতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই আজ স্বাধীনতা দিবস প্রশাসনের তরফে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হলেও একটি মালা ও সম্মান জুটলনা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মূর্তিতে। রবিবার বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে জেলাশাসকের দপ্তরে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। ফুলের মালা আর গান স্যালুটে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হলেও একটা মালাও জুটল না আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়কের গলায়। এটা কি প্রশাসনিক উদাসীনতা নাকি রুল বুকের বাইরে গিয়ে কিছু না করার দায়বদ্ধতা? প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রশাসনের উদাসীনতার পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলগুলি সদিচ্ছা নিয়েও। যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।
আজ তেইশে জানুয়ারি অর্থাৎ সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন নয়। তবুও স্বাধীনতার অন্যতম কারিগরের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র আবার কখনও রাজনৈতিক মুনাফা তোলার জন্য নেতাজি কে ব্যবহার করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু তার অন্তর্ধান রহস্যের জট আজও কাটাতে চাই নি কেউই। তা উচ্চস্তরে হয়ে এসেছে। কিন্তু আজ সেই অবহেলার এক দৃষ্টান্ত দেখল বর্ধমান।