শাসন: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC Clash) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি শাসনে। মাছের ভেড়ি ও ঘেরি দখলের লড়াইয়ে একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পৌঁছেছে শাসন (Shasan Violance) থানার পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার (Barasat Shasan) সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, অতীতের একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিবাদ। মূলত মাছের ভেড়ি ও ঘেরি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার দখলদারি নিয়ে শাসকদলের (TMC) দুই মাতব্বর গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রস্ত গ্রামবাসীরা বলেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এখানেও কোনওদিন রামপুরহাটের বগটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসনের তেহাটা গ্রামে বছর তিনেক আগে রাজনৈতিক কারণে খুন হন আব্দুল সামাদ আলি। অভিযোগের তির ছিল তাঁরই ভাইপো মোতালেবের দিকে। তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব এলাকাছাড়া ছিল। বারবার স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়েও ঘরে ফিরতে পারেনি। ফলে দ্বারস্থ হয় হাইকোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশে মাস দুয়েক আগে মোতালেব বাড়ি ফেরেন। আর এই বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক পারদ চড়তে থাকে।

শাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে মোতালেব তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে একাধিক বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুর করে। যদিও সূত্র মারফত খবর এই বোমাবাজির সঙ্গে মোতালেবের কোনো যোগাযোগ নেই। কারণ দিনকয়েক ধরে তিনি গ্রামেই নেই। শাসকদলের অন্য গোষ্ঠীই মোতালেবের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে এই কাজ করে তাঁর ঘাড়ে দোষ চাপানোর মতলব চালাচ্ছে। দু’গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরেই এই বোমাবাজি ও ভাঙচুর চলে। পুলিস এলাকায় গেলেও এখনও তেহাটা গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে। যাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ এবং দুষ্কৃতীদের শাস্তি দাবি করেছেন।