বাঁকুড়া : সর্দি, কাশি নিয়ে এক অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। বেশ কিছু জেলায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে এই অজানা জ্বরের কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। সম্প্রতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জ্বর ও অনান্য উপসর্গ নিয়ে শিশু ভর্তি বাড়লেও এখনও অজানা জ্বরের খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন : ভ্যাকসিন থাকলেও নেই সিরিঞ্জ, বাঁকুড়ায় বন্ধ টিকাকরণ
রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় অজানা জ্বরে শিশু আক্রান্তের খোঁজ মিললেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু ভর্তির কোনও খবর নেই। কিন্তু সেখানে জ্বর সহ নানান উপসর্গ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। যাদের বয়স ১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। অজানা জ্বরের খোঁজ না মিললেও ভর্তি হওয়া শিশুদের শারীরিক পরীক্ষা করে খোঁজ মিলছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, স্ক্র্যাব টাইফাস, এনসেফালাইটিস ও অনান্য রোগের। তবে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভার হয়ে জ্বরের প্রকোপ সব থেকে বেশি বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত পর্য্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ১৪৭ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। সূত্রের খবর, ভর্তি থাকা শিশুদের মধ্যে ৭০ জনের বেশি শিশুর জ্বর ও অনান্য উপসর্গ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিবছর এই সময় জ্বর ও অনান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শিশুরা ভর্তি হয়। এই বছর জ্বর নিয়ে আসা শিশুদের ভর্তি নিয়ে চিন্তায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে তাদের জ্বরের কারণ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জ্বর নিয়ে আসা শিশুর শরীরে করোনার উপস্থিতি রয়েছে কিনা। গত একমাসে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া একজন শিশুও করোনা পজিটিভ ছিল না। গত ৯ মাসে জ্বরে শিশু মৃত্যুরও কোনও খবর নেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দ্রুত ভাইরাস ঘটিত রোগ নির্নয়ের জন্য কিট চাওয়া হয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে।
আরও পড়ুন : বড়দের সর্দি, কাশি থেকেই ছোটদের অজানা জ্বর, মত চিকিৎসকদের
এই অবস্থায় তৃতীয় ঢেউ আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঢেউয়ের জেরে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা এমন ইঙ্গিতও মিলেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বসানো হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। বাড়ানো হয়েছে শিশুদের সি সি ইউ বা এইচ ডি ইউ বেডের সংখ্যাও।