কেতুগ্রাম: স্বামী কাঁচি দিয়ে হাত কেটে দিয়েছেন। ডান হাতের কবজি হারিয়েও রেণু চান সেবিকা হিসেবে মানুষের সেবা করতে। হাসপাতালে নার্সের সরকারি চাকরিটা যেন তাঁর না যায়। প্রয়োজনে আরও পড়াশুনো করবেন। হাসপাতালের বিছানায় সাদা ব্যান্ডেজ মোড়া কাটা হাতটাকে আগলে রেখে রেণু খাতুনের দাবি, আজ তাঁর এই অবস্থা যে করেছে, সে যেন শাস্তি পায়।
রেণু চান, চাকরি করবেন। হাসপাতালের নার্সের পোশাক পরেই চাকরি করবেন। প্রয়োজনে ডান হাতের কাজগুলো বাঁ হাতে করার অভ্যাস করবেন। যেন কোনও ভাবেই তাঁর চাকরি না যায়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই আকুতি বারবার উঠে আসছিল রেণুর গলা থেকে।
ঠিক কী ঘটেছিল শনিবার রাতে?
রেণু্র কথায়, আমরা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম। আমি শুয়ে পড়ি। ও বার বার বাথরুমে যাচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করতেই বলে, পেট খারাপ। তখন আমার চোখ দুটো বুজে এসেছিল। আচমকা বুঝি, আমার দু’পা মুখ ঢাকা লোকটা ধরে আছে। হাত দু’টো আরও দু’জনে। আমার উপরে বসে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরার চেষ্টা করছে আমার স্বামী। বাঁচার চেষ্টা করি। তখনই টিন কাটার কাঁচি দিয়ে কবজি থেকে আমার ডান হাতটা কেটে দেয় ও।

কাটা হাতের আঙুলগুলো তখনও মাটিতে পড়ে নড়ছিল। ওকে ধাক্কা মেরে পাশের ঘরে আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে ডাকি। আমার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন আসেন। আসেন অন্য আত্মীয়েরাও। ওরাই ডাকেন অ্যাম্বুল্যান্স।