ইসলামপুর: দিনের বেলা গুলি চালানোর ভাইরাল ভিডিও-নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল৷ সেই কোন্দলে থমথমে পরিবেশ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ভদ্রকালী এলাকা। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর পুলিশ জেলা। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। এলাকায় নতুন করে অশান্তি রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে কমব্যাট ফোর্সের টহলদারীও। তবে, ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করিনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল টিম৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলি চালানোর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জেরবার শাসকদল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান অনুগামী গোষ্ঠীর দাবি, ভাইরাল ভিডিওটি পুরানো। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ের ভিডিও। এছাড়াও, গুলি চললেও গতকাল(রবিবার) জাগিরগছ এলাকায় পারিবারিক বিবাদে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কর বলেন, মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।

আরও পড়ুন- ভবানীপুর সহ উপনির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের হেভিওয়েটরা, তালিকায় মিমি, দেব, রাজ, সায়নীরা
অন্যদিকে, ইসলামপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন অনুগামী গোষ্ঠীর দাবি, ভিডিওটি গতকালেরই(ররিবার ৫ সেপ্টেম্বর)। সুজালী লক্ষ্মীপুর থেকে দুষ্কৃতী এনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে এলাকার দু’একজন। গোলাগুলির জেরে আতঙ্কে গ্রামছাড়া ঘরছাড়া ৩০টি পরিবার।

আরও পড়ুন- একাত্তরের পর ২১, রুটদের ১৫৭ রানে হারিয়ে ওভালে বিরাট শাসন
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রকালী বাজার-সহ চা বাগানের দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছিল। প্রচুর সংখ্যক চা শ্রমিক ঘটনার জেরে কাজ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। জাকির গোষ্ঠী ভিডিও ভাইরাল করার আড়ালে হামিদুল গোষ্ঠীকে পরাজিত তথা দুর্বল করে এলাকার দখল নিতে বদ্ধ পরিকর বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডির প্রশ্নের লিখিত জবাব দিলেন অভিষেক
গোবিন্দপুর অঞ্চলটি ইসলামপুর ব্লক ও চোপড়া বিধানসভার অন্তর্গত। গোবিন্দপুরের তৃণমূল নেতৃত্বও হামিদুল ও জাকির, এই দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। গোবিন্দপুরের বর্তমান প্রধান রইসুদ্দিন আহমেদ, ইসলাম, সুইট সহ অন্যান্যরা জাকির গোষ্ঠীতে রয়েছেন। অপরদিকে, গোবিন্দপুরের প্রাক্তন প্রধান সামসুদ্দিন ওরফে খোলাই, ঠুনু মহম্মদ, মইনু, হাবা সহ অন্যান্যরা হামিদুল গোষ্ঠীতে রয়েছেন। মূলত, ভদ্রকালী বাজার এলাকার দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়েই গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠে ভদ্রকালী।