শিলিগুড়ি: প্রায় দেড় বছর হতে চলল বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন। স্কুলের পড়া এখন অনলাইনে। এই পদ্ধতিতে পড়তে গেলে দরকার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ। সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে দলবদল, নন্দীগ্রামে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ২০০ পরিবার
এগুলো সব শহরে সহজলভ্য। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে? কোভিড মহামারির ফলে গ্রামের গরিব মানুষগুলোর রুজিরুটি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তার ওপর এই সব দামী গেজেট কেনা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। তাই তাঁদের সহায়তা করতে চালু করা হল পাঠশালা।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ATM-এ লেনদেনের খরচ, কত টাকা কাটবে ?
শিলিগুড়ির কাছে এক নম্বর ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পোড়াঝাড় গ্রাম। সেখানকার শিশুদের কাছে পড়াশোনার জন্য নেই উন্নত প্রযুক্তির কোনও গেজেট। ইন্টারনেট তো দূর অস্ত। যারা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল দেড় বছর থেকে স্কুল বন্ধ থাকার জন্য সবকিছুই তারা ভুলতে বসেছে। বিশেষ করে ক্লাস ১ থেকে ৫ এর শিশুরা। আবার অনেক ছোট ছোট খুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় হয়েছে, কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য তাঁরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। এই শিশুদের কথা চিন্তা করেই শিলিগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইউনিক ফাউন্ডেশন বিভিন্ন গ্রামে শুরু করেছে পাঠশালা। যার নাম ‘বিদ্যাছায়া’।
আরও পড়ুন: আড়ি পাতা হচ্ছিল নেতা-মন্ত্রীদের ফোনে, মাঝ রাতে আসতে পারে বিস্ফোরক রিপোর্ট
সপ্তাহে তিন দিন ধরে তাঁরা শিশুদের নিয়মিত ইংরেজি, বাংলা ও অংক শেখাচ্ছেন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্তই এই স্কুল চলছে। ঘর নেই তাই কারও বাড়ির উঠানেই চলছে স্কুল। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এহেন মহৎ কাজে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তাঁদের সাহায্যতেই শিশুদের পঠন-পাঠনে মনোনিবেশ করার জন্য শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুল ব্যাগ, খাতা, পেন্সিল, বই থেকে শুরু করে সবকিছু।