বসিরহাট: কানাডা গুজ। পরিযায়ী পাখি। বাসস্থান মূলত কানাডায়। সেদেশে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়লে তারা আকাশপথে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ, ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে। কয়েকমাস থেকে ওই দেশের আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে তারা ফিরে যায় নিজেদের জায়গায়। তাদের দেখা মিলল বসিরহাটে। তবে পাচারকারীদের হাত থেকে পাখিদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুধু কানাডাই নয়, উত্তর আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, চিলি, জাপান সহ এই দেশগুলি এই পরিযায়ী পাখির বিচরণভূমি। আমেরিকাতে এদের রাজহাঁস বলা হয়ে থাকে। মূলত কালো, ধূসর ও খয়েরি রঙের হয়। একেকটি পাখির ওজন হয় গড়ে প্রায় ৫ কেজি। গড় উচ্চতা ৩ ফুট। এই কানাডা গুজ বাঁচে ১০ বছর থেকে প্রায় ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এঁদের আনাগোনা শুরু হতে থাকে ভারতে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও তাদের দেখা মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাটে। তবে রবিবার পাচারকারীদের হাত থেকে পুলিশ পরিযায়ী পাখিগুলিকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: কান্তিবাবুর অন্নদাতায় ‘রোজগারের আশ্রয়’ পাচ্ছেন গ্রামের যুবকেরা

রবিবার সকালে বসিরহাটের ইছামতি ব্রিজে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয় ৬ টি পাখি। এই ঘটনায় এক বাইক আরোহী সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত রুহুল আমিন মিস্ত্রি ও রবিউল মিস্ত্রি উত্তর বাগুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বসিরহাট ঘোজাডাঙা সীমান্ত পার করে এই বিশেষ প্রজাতির হাঁসগুলোকে আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া হাঁসগুলোকে বসিরহাটে বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কবর খুঁড়ে নাতনির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ, পলাতক খুনে অভিযুক্ত ঠাকুমা, ঠাকুরদারা