Tuesday, August 12, 2025
Homeজেলার খবরপুলিশেরই জমি গায়েব, জমি পুনরুদ্ধারে নেমে নাজেহাল উর্দিধারীরাই

পুলিশেরই জমি গায়েব, জমি পুনরুদ্ধারে নেমে নাজেহাল উর্দিধারীরাই

Follow Us :

বালুরঘাট:  পুলিশের নাগের ডগা থেকেই বেহাত হয়ে গিয়েছিল নিজেদেরই জমি।  সেই জমি পুনরুদ্ধারেই এবার মাঠে নামল বালুরঘাট থানার পুলিশ। আর এই কাণ্ডে অভিযুক্ত  শুভেন্দু লাহা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি ওই জমির সমস্ত বৈধ নথি তাঁর কাছে রয়েছে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের দাবি ওই সমস্ত কাগজ সঠিক নয়।  সব মিলিয়ে নাজেহাল পুলিশ।

বালুরঘাট থানার পেছনে রয়েছে বিশাল মাপের পুলিশ আবাসন। বুধবার দুপুরে   হঠাৎ করে বালুরঘাট থানার পুলিশের একটি দলকে দেখা যায় জমি সেটেলমেন্টের দফতরের আধিকারিদের সঙ্গে। এই দৃশ্য দেখামাত্রই  স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, শুক্রবার পর্যন্ত চলবে দুর্যোগ

সূত্রের খবর, স্বাধীনতার পর ৯ একরের বেশি ওই জমিতে বালুরঘাট থানার পাশেই একটি পুলিশ আবাসন গড়ে তোলা হয়।  জানা গিয়েছে, সত্তরের দশকে গোটা আবাসন নির্মাণ প্রকল্পটি হলেও সেইসময় পাঁচিল দিয়ে কোনওরকম সীমানা নির্ধারণ করা হয় নি। এইভাবেই পেরিয়ে যায় দুই দশক। তারপর নব্বইয়ের দশকে অস্থায়ী ভাবে কাটা তারের বেড়া দিয়ে সীমানা ঘেরা হয় পুলিশের তরফে।

আর সেই সময়েই ঘটে বিপত্তি। জমির সীমানা নির্ধারিত না হওয়ায় ইতিমধ্যই সেই জমির একাংশ অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে নির্মিত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়িও। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শুভেন্দু লাহাকে প্রশ্ন করা হলে সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও তাঁর কাছে থাকা সেই জমির ও বাড়ির সমস্ত নথি থাকা সত্বেও সেই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ।

আরও পড়ুন: অবহেলার মধ্যেই মহারাজ নন্দকুমারের স্মৃতি বিজড়িত ফাঁসির স্থান

অন্যদিকে, এদিন  অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে ওই বিতর্কিত জমির মাপজোক করতে আসেন রেভেনিউ অফিসার অরুন দাস। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা শাসকের নির্দেশেই এই জমির মাপজোকের কাজ শুরু হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনিকমহলের বিচারাধীন থাকায় এর থেকে বেশি মুখ খুলতে চাননি তিনি। যদিও দীর্ঘদিন পর বুধবার পুলিশের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

RELATED ARTICLES

Most Popular