কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় এবার সিবিআই নোটিস ধরাল মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের কয়েকজন ঘনিষ্ঠকেও। সূত্রের খবর, পরেশ ঘনিষ্ঠ মোট আট জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। নারকেলডাঙ্গায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে অনেকদিন ধরেই। মঙ্গলবার ও বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে ওই আটজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
অভিজিতের পরিবারের অভিযোগ, ওই খুনের ঘটনায় পরেশের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। সেই সূত্রেই গত বুধবার পরেশ পালকে ডাকা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। ওইদিন তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। নোটিস দেওয়া হয়েছে অসিত বাড়ি, সন্তু ভৌমিক, রঞ্জিত দে, রাজদীপ সিং, রবি মান্না, তুষার কান্তি দে এবং সমীর দলুইকে।
এর আগে অভিজিৎ সরকারকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং জানান, খুনে অভিযুক্তদের হদিশ দিতে পারলে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Weather Update: বিকেলে কালবৈশাখী? ইডেনে বল গড়াবে কি না তা নিয়ে সংশয়
গত বছর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের দাবি ছিল, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির। অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেছিলেন, নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পরই এলাকার বিধায়ক পরেশ পালের নির্দেশে ভাইকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ পরেশ পালের অনুগতরাই এই কাণ্ড ঘটান। এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়।