বীরভূম: বিশ্বভারতীতে ফের ঘেরাও হলেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও অধ্যাপকরা। এবার বিক্ষোভের আঁচ পড়ল বাংলাদেশ ভবনেও। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনে সোমবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব, সহকারী কর্মসচিব-সহ বিভিন্ন ভবনের অধ্যাপকরা। সবার উপস্থিত হওয়ার পরই বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা তাঁদের ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করে।
পড়ুয়াদের দাবি, যে নোটিস দেওয়া হয়েছে ওই তিনটি দাবি যতক্ষণ না মেনে নেওয়া হবে ততক্ষণ চলবে আন্দোলন। এদিকে কেন্দ্রীয় ভবনের সামনে দুই পড়ুয়া মীনাক্ষী ভট্টাচার্য ও সোমনাথ সাউ আমরণ অনশনে বসেছেন। সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতনে অশান্তির বাতাবরণ কিছুতেই কাটছে না।
হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবি নিয়ে বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা আজ ১৫ দিনে পা দিল। বিশ্বভারতীর অধিকাংশ ভবনে তালা ঝুলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তালা কে মারল সে নিয়ে শুরু হয়েছেো চাপানউতোর। আন্দোলনকারীদের দাবি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস বয়কট করেছেন পড়ুয়ারা।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ভাবেই অচলাবস্থা চলবে বিশ্বভারতী জুড়ে। তাদের দাবি অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে ও সমস্ত হস্টেল খুলতে হবে। কোর্টের রায় মানছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- Purulia Congress Councillor Murder: অধীরকে দেখে লুটিয়ে পড়লেন ঝালদার নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী
এই অচলাবস্থার মধ্যে সোমবার থেকে আরও ধুনো ছিটিয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (AVBP)। হুঁশিয়ারি মতো তারা এদিন থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি ঘেরাও করে। হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবিতে তারা আন্দোলনে বসেছে। যতক্ষণ না দাবি মিটবে ততক্ষণ উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও থাকবে বলে জানিয়েছে এবিভিপি।