পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার বলরামপুর ও হুড়া ব্লকের বিএলআরও অফিসের দালালচক্রের ৫ চাঁইকে আজ, মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। সোমবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে বলরামপুরের বিএলআরও অফিসের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দালালচক্রের মাধ্যমে মিউটেশনের কাজ হয় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কিছুক্ষণ পরেই বলরামপুর থানার পুলিস গিয়ে তিন দালালকে গ্রেফতার করে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম- সুভাষ মাহাতো, নিশীথ প্রামাণিক ও রামজীবন মোহান্তি। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। বলরামপু্রের বিএআরও অফিসের উল্টো দিকের দুটি দোকানে বসেই ধৃতরা দালালচক্র চালাচ্ছিল অভিযোগ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওসির নির্দেশে দুটি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দালালচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে হুড়া ব্লকের বিএলআরও অফিসের সুইপার (অস্থায়ী) রাজকুমার মাহাতো ও জেরক্স দোকানের মালিক বিষ্ণুপদ সেনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সোমবার মমতা বলেন, বিএলআরও অফিসে গেলে সাধারণ মানুষকে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। দালালচক্রের শিকার হচ্ছেন অনেকে। বলরামপুর বিএলআরও-র উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, বলরামপুর বিএলআরও উল্টো দিকের দুটো দোকানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে। কেউ বিএলআরও অফিসে গেলেই দালালরা সেই দোকানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফর্ম ফিল আপ, পরচা বার করতে টাকা নিচ্ছে দোকান। পুলিস এ নিয়ে তদন্ত করুক।’
ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের রীতিমতো হুশিয়ারি দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনমাস সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আলাদাভাবে দুয়ারে ক্যাম্প করতে হবে। সেই শিবির থেকে জমি মিউটেশন জাতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। আমার কাছে যাতে আর কোনও অভিযোগ এসে না পৌঁছয়। জেলা প্রশাসনকে মমতার নির্দেশ, আমি চাই, সব কাজ সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেলুন। আন্ডার প্রসেসের তালিকা বাড়াবেন না।