রামপুরহাট: বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে ধৃত রিটন শেখের ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রামপুরহাট মহকুমা আদালত। গণহত্যার তদন্তে নেমে ১৩ এপ্রিল বগটুই গ্রাম থেকে রিটনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর ১৪ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে ছিল রিটন। আজ, রবিবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় অভিযুক্তকে ফের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২৯ এপ্রিল ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডে ৭ এপ্রিল চার জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মুম্বই থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত চার জনই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের অনুগামী বলে পরিচিত। সিবিআই সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, এরা ঘটনার পর মুম্বইয়ে পালিয়ে গিয়ে ঘাপটি মেরে ছিল।
এর পর বগটুই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ভাদুর ছায়াসঙ্গী তথা লালন শেখের শ্বশুর সমীর শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ২১ মার্চ, সোমবার সন্ধেয় বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ পরে আরও একজনের মৃত্যু হয় রামপুরহাট হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Kolkata Weather: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির হাতছানি, হাঁসফাঁস করছে মহানগরী
বগটুইয়ের ঘটনায় প্রথমে সিট এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। ৭ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ সেই মতোই গত বৃহস্পতিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। একই সঙ্গে ভাদু শেখের খুনের ঘটনারও তদন্ত করছে সিবিআই।