রামপুরহাট: বগটুই গ্রামের হত্যালীলার আসল তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। বুধবার বগটুই গ্রামে পৌঁছে এই হুঁশিয়ারি দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেন, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে পুলিস, প্রশাসন ও শাসকদল পরস্পরবিরোধী কথা বলে চলেছে। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলে দিলেন, শর্ট সার্কিটের কারণে টিভির বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগেছে। ডিজি বলছেন তদন্ত হবে, কিন্তু ঘটনায় কোনও রাজনীতির গন্ধ নেই। আবার শাসকদলের নেতারা বলছেন, বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাহলে কোনটা ঠিক? তাঁর অভিযোগ, শাসকদল আর পুলিস মিলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তোলাবাজির বখরা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হত্যালীলা, দাবি সেলিমের।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, কালীঘাটে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আছে, রামপুরহাটে তেমন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আছে। এসডিপিওকে কিনে রেখেছে সেই ভাইপো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাকি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। আমাদের ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষকে আরএসএসের লোকেরা জেএনইউতে ঢুকে মেরেছিল। দিল্লি পুলিস আর অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আজ পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট দিয়েছে? যাহা বাহান্ন, তাহাই তিপান্ন। আর এই দুইয়ে মিলেই নবান্ন।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: বগটুই হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতার ২০
তিনি আরও বলেন, বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সিবিআই আর সিআইডির মধ্যে কোনও তফাৎ আছে? সিবিআই প্রধানকে অমিত শাহ আর সিআইডির প্রধানকে মমতা ঠিক করেন। আর বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে সমাজবিরোধী আদানপ্রদান হয়। বিজেপির অপরাধীদের রাজ্য সরকারের পুলিস খুঁজছে। আর অমিত শাহর পুলিস তাদের পাহারা দিচ্ছে। যেমনটা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হয়েছিল। অন্যদিকে ইডি, সিবিআই তৃণমূলের অপরাধীদের ডাকে, আর বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে কেবল দল বদল চলে।
সেলিমের দাবি, বগটুই গ্রামে তাঁর পরিচিত ওই ব্যক্তি মাত্র দুমাস আগে বিয়ে হয়। বিপদ বুঝতে পেরে তিনি বাড়িতে ফোন করে পুলিস পাঠাতে বলেছিলেন। কিন্তু এসডিপিও পুলিসকে যেতে দেননি বলে সেলিমের অভিযোগ। তাঁর আরও দাবি, ভাদু শেখের পয়সায় গাড়ি চড়েন এসডিপিও। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুরও দাবি, পুলিস তৃণমূলের কথামতো চলছে বলেই এই সব ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence CPM-BJP: রামপুরহাট বগটুই গ্রামের পথে বাম-বিজেপি, স্থানীয়রা চুপ