রামপুরহাট: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) জেরা করার জন্য বুধবার ফের আনারুল হোসেন সহ ৯ জনকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে নিয়ে আসা হল। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ সকলকে প্রিজন ভ্যানে করে রামপুরহাট শহরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অথিতিশালা পান্থশ্রীতে নিয়ে আসা হয়। এই পান্থশ্রীই আপাতত সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী আনারুলকে গ্রেফতার করার কথা বলেন। সেই নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিস। রাতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে তারাপীঠ থানায় রাখা হয়। শুক্রবার সকালেই সিটের আধিকারিকরা রামপুরহাট থানায় যান। গত শুক্রবার রামপুরহাট হিংসায় আনারুল হোসেনের ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এর মধ্যেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। রবিবার সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয় আনারুল হোসেনকে। সেদিনই রামপুরহাট থানা থেকে আনারুল হোসেনকে নিয়ে পান্থশ্রীর অস্থায়ী ক্যাম্পে যায় সিবিআই৷ প্রায় ৩ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এরপর তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় রামপুরহাট থানায়।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: অনুব্রতকে গ্রেফতারের চক্রান্ত করছে বিজেপি, দাবি মমতার
সোমবার দুপুরে রামপুরহাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নাজেমা বিবির। নাজেমা সম্পর্কে মিহিলালের বৌদি ছিলেন। প্রায় আট দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর হার মানেন নাজেমা। এদিন বগটুই-কাণ্ডে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখকে (Mihilal Sheikh)।
রামপুরহাটের তদন্তভার পাওয়ার পরেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রামপুরহাটে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে সিবিআই। যেখানে দফায় দফায় বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের দ্রুত অগ্রগতির জন্য মিহিলালকে জিজ্ঞাসবাদের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও জেরা করার জন্য আনারুল হোসেন সহ ৯ জনকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে নিয়ে আসা হল।