কেতুগ্রাম: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন ডান হাতের কবজি হারানো রেণু খাতুন। একই সঙ্গে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হল তাঁর। হাসপাতালের বেডে বসেই জেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রেণু। তিনি জানান, খুবই খুশি হলাম নিয়োগপত্র পেয়ে। এখন অনেকটা ভালো আছি। নিয়োগপত্র পেয়ে আরও সুস্থ হলাম। দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেণুর চাকরির কথা ঘোষণা করেন। তাঁকে নার্স পদেই চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে যেহেতু তাঁর ডান হাতের কবজি কেটে গিয়েছে, তাই ভিন্ন হবে কাজের ধরণ। একই থাকবে গ্রেড এবং পে স্কেল। গত শনিবার সরকারি চাকরি পাওয়ার অপরাধে রেণুর ডান হাতের কবজি কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছিল তাঁর স্বামী। কেতুগ্রামের সেই ঘটনার পর সোমবার অভিযুক্ত স্বামী শরিফুল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। চাকরি নিশ্চয়তার পাশাপাশি বুধবার মমতা জানান, রেণুর কেটে যাওয়া ডান হাত কৃত্রিমভাবে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। আপাতত বছর ২৩-এর এই তরুণীর চিকিৎসা করতে যে টাকা খরচ হয়েছে তাও রাজ্য প্রশাসন পূরণ করার চেষ্টা করবে। মমতার কথায়, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi Hospital Fire: দিল্লির হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মৃত্যু রোগীর
এর আগে রেণুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কাছে রেণুর আকুতি ছিল নার্সের চাকরিটা যেন তিনি পান। সেই প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উনি গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। রেণু ডান হাত হারিয়েছেন। কিন্তু বা হাত আছে। বা হাতে বসে কাজ করতে পারবে এমন কোনও কাজ যাতে তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী পেতে পারে সেই পদক্ষেপ করবে রাজ্য। সেই অনুযায়ী নার্স পদেই চাকরি করবেন রেণু। তবে তাঁর কাজ হবে একটু আলাদা। সে বিষয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে।