ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় নরেন কান্দু, দীপক কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান প্রামাণিককে বুধবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। তবে, এদিন আদালতে সিবিআই পক্ষের আইনজীবী হাজির না থাকার কারণে ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার গ্রেফতার করা হয়েছিল এই পাঁচ অভিযুক্তদের। দীপক কান্দু ছাড়া বাকি চার অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। তারপর অভিযুক্তদের জেল হেফাজত হয়। বুধবার জেল হেফাজতের সময়সীমা পূরণ হলে ফের অভিযুক্তদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। কিন্তূ এদিন ধৃতদের পক্ষে কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। ফলে, আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সিবিআই পক্ষের আইনজীবী। যে কারণে আবারও অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ।
১৫ মার্চ সিটের সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয় দীপক কান্দু। ১৬ তারিখ জেলা আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত হয়। তারপর সময়সীমা পূরণ হলে অভিযুক্তর জেল হেফাজত হয়। ৩১ মার্চ গ্রেফতার হয় কলেবর সিং। ১ তারিখ তাকে জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত। ২ তারিখ আশিক খান ও নরেন কান্দু গ্রেফতার হয়। ৩ তারিখ ১৪ দিন জেল হেফাজত হয় অভিযুক্তদের। ৪ তারিখ ঝালদা গুলিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা উচ্চ আদালত। ৬ তারিখ তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেইদিনই রাতে সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা আসে ঝালদায়।
আরও পড়ুন- Accident: দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রতর দেহরক্ষীর গাড়ি, মৃত এক শিশু সহ ২
এরপরই সিবিআইয়ের হাতে ১২ এপ্রিল গ্রেফতার হয় সত্যবান প্রামাণিক। ১৩ তারিখ তাকে জেলা আদালতে তোলা হলে চার দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই সকল অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের সময়সীমা শেষ হলে আজ ফের জেলা আদালতে তোলা হয় । যদিও জেল হেফাজতে থাকা দীপক কান্দুকে এখনও জেরা করেনি সিবিআই।
গত ১৩ মার্চ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাও এবার কংগ্রেসের টিকিটে কাউন্সিলর হয়েছেন। ঝালদা পুরসভা এবার ত্রিশঙ্কু হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, দল ভাঙিয়ে তৃণমূল বোর্ড গড়তে চায়। পরিবারের অভিযোগ, খোদ আইসির ভূমিকাও সন্দেহের বাইরে নয়। ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠে রাজ্য রাজনীতি ।