কলকাতা: মুখ্যসচিবের কাছে নিরাপত্তা চাইল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি জানান, নিহত ছাত্রের দেহ নিয়ে সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা। এমনকী তাঁর বাসভবনের মূল গেটের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপত্তা পাঠান। এই বক্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করেন। তিনি মুখ্যসচিবকে বিষয়টি জানিয়েছেন। মুখ্যসচিব বলেন, এবিষয়ে জেলাশাসক, পুলিস সুপারকে জানানো হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
নিহত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রনর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এমনকী অসীমের দেহ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাতেও বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। নিহত ছাত্রের পরিবারের পাশাপাশি বিশ্বভারতীর সাধারণ পড়ুয়ারাও ওই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। নিহত ছাত্রের পরিবার উপাচার্যর বাসভবনের সামনে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি বলে অভিযোগ।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1517542387287195649
এদিন দিনভর নিহত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের পরিবারের সদস্যরা উপাচার্যের বাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখান৷ তাঁদের অভিযোগ, অসীমের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করেনি৷ এমনকী পরিবারকে কোনও সহযোগিতাও করছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করেনি৷ শুধু তাই নয়, মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। কীভাবে মৃত্যু হল অসীমের, তাও জানানো হয়নি৷ এই অভিযোগে রাতভর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে রাখা হয়৷ পরিবারের মহিলারা বাসভবনের সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখান৷ নিহত ছাত্রের বাবা বলেন, উপাচার্য বা কর্তৃপক্ষের কেউ আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলছেন না৷ কীভাবে আমার ছেলের মৃত্যু হল তাও জানাচ্ছে না৷ আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।