কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় রবিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর আসছিল। বুধ দখল, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়া, ভোটারদের হুমকি দেওয়ার মতো বিস্তর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই বেলা গড়াতে ৪ নং ওয়ার্ডে আচমকাই চলল পরপর গুলি। অভিযোগ উঠেছে, ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। মুহূর্তের মধ্যে ভোটারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বহিরাগত বাইকবাহিনীর দাপাদাপি লক্ষ্য করা গিয়েছে। চলছিল হুমকিও। এক বাসিন্দার কথায়, ‘আতঙ্ক ছিলই, কিন্তু ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য যে এভাবে গুলি চালানো হবে, কল্পনাতেও আসেনি।’ ভয়ের চোটে তিনি আর পরে আর বুথমুখোই হননি।
স্থানীয়রাই জানিয়েছেন, গুলিতে একজন জখমও হন। তবে, পুলিসের কাছে সেরকম কোনও ঘটনার খবর নেই। ঘটনার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে পরপর বেশ কয়েকটি গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। তারপরই পথচলতি মানুষকে পড়ি কী মরি ছুটতেও দেখা গিয়েছে। অনেকে ছাদ থেকে সেই গুলি চালানোর দৃশ্য দেখছিলেন। আতঙ্কে তড়িঘড়ি তাঁরা ছাদ থেকে নেমে পড়েন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
ভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, দু’একজন যুবক হাতে পিস্তল উঁচিয়ে এলাকা ফাঁকা করছে। আবার মুখ ঢাকা তিন দুষ্কৃতীকে একটি পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে কাউকে সরে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাদের কারও হাতে ছিল পিস্তল কারও হাতে লাঠি।
এরপরেই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিসবাহিনী। এলাকায় যান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। যদিও পুলিসের গুলি চালানোর ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন- WB Civic Polls: নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত, হতাশায় কাঁথির তৃণমূল নেতা তরুণ জানার উপর হামলা বিজেপির
এদিন জয়নগরের এই দুষ্কৃতী হামলার ঘটনাকে কার্যত বর্গীহানা বলে অভিযোগ করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্যস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, কোনও একটা বুথ কিংবা ওয়ার্ড নয়। গোটা জয়নগর শহর দখল করে নেয় লুঠেরারা। মোট ১৬ রাউন্ড গুলি চলে। এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যে প্রশাসন, পুলিসমন্ত্রী বলে কিছু নেই। সেটা ভোট এলেই বোঝা যায়।