হাওড়া: রাত প্রায় ১১টা। তখনও দু’একটা দোকান খোলা। বাকিগুলোর ঝাঁপ বন্ধ। কালো কাপড় ঢেকে একটি বাড়িতে ঢুকল দু’জন। তার কিছুক্ষণ পর তারা বেরিয়েও গেল। খুবই সাধারণ মনে হলেও এর মধ্যে যে জলজ্যান্ত একটা মানুষ খুন হয়ে যাবেন, তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিলেন। খোলা দরজা দেখে স্থানীয় কয়েকজন ডাকাডাকি করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হল। ঘরের ভিতরে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেলে রাখা দেহটিও দেখতে পেলেন প্রতিবেশীরা। খুনের অভিযোগে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিসি জেরায় তারা স্বীকারও করেছে যে, লোক দিয়ে বাবাকে খুন করিয়েছে মা ও মেয়ে।
খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে। গ্রেফতার স্ত্রী সুলতানা বেগম ও মেয়ে আমিনা। বুধবার রাতে শেখ সালামের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। অভিযোগ, সালামের বাড়িতে এসেছিল আরও দুই ব্যক্তি। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গা ঢাকা দেয় সেই দুই ব্যক্তি। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডোমজুড় থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সালামের দু’টি বিয়ে। বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে ৩ মেয়েকে নিয়ে থাকেন সালামের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সুলতানা ও আমিনা তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী-মেয়ে। বাড়ি ছাড়াও বেশকিছু জমিজমা রয়েছে তাঁর। পুলিসের অনুমান, সম্ভবত সম্পত্তিঘটিত বিবাদ চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। মা-মেয়েকে জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিস। তবে, পুলিসের আরও সন্দেহ সালামকে খুনে সুপারি কিলার নিয়োগ করে থাকতে পারে মা-মেয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: Kultali Pregnant Woman Murder: শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইক না মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ