সিউড়ি: সোনার দোকানে (Jewellefry Shop) ডাকাতি (Dacoity) করতে গিয়ে সশস্ত্র ডাকাত দলকে ঘিরে রাখল এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ। সোনার দোকান সহ পুরো বাড়ি ঘিরে ফেললেন তাঁরা। তবে টানটান তিনঘন্টা উত্তেজনার পর শেষ পর্যন্ত কাউকেই ওই ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে ধরতে পারেননি। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট থানার নিউটাউন এলাকায় রাণীগঞ্জ- মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বীরভূমের রামপুরহাট থানার শিবপুর গ্রামের কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে ঢোকে চার- পাঁচ জনের ডাকাত দল। সেই সময় দোকান মালিকের তৎপরতায় ডাকাত দলকে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। সোনার দোকানের মালিকের স্ত্রীর চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রামপুরহাট ও মাড়গ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘিরে রাখে। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে ডাকাতদের উদ্দ্যেশে মাইকে ঘোষণা করেন, জানালা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে ডাকাতরা যেন আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু, তিন ঘণ্টা পরেও ঘিরে রাখা সোনার দোকান ও বাড়ি থেকে কোনও প্রত্যুত্তর আসে না। শেষে রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে পুলিশের একটি টিম দোকান ও বাড়ির ভিতরে ঢোকে। কিন্তু সেখান থেকে ডাকাত দলটির কাউকে পাওয়া যায়নি। সবার চোখে ধুলো দিয়ে রাতের অন্ধকারে চম্পট দেয় ডাকাতেরা। পুলিশ পুরো বাড়ি তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি ওয়ান সাটার পিস্তল। এদিকে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে একটি নম্বরপ্লেট বিহীন মোটরসাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মোটরসাইকেলে চড়ে ডাকাতরা এসেছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Narada Case | Shovan | Firhad | নারদ মামলায় আদালতে হাজিরা ববি-শোভনের
এরপর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ঘটনায় দুটি মোটসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি নাইনএমএম আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি গুলি ও বেশ কিছু সোনা ও রুপোর গহনা উদ্ধার করা হয়েছে।