বীরভূম: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আসন্ন ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ প্রার্থী বাছাই করবে। এবার সেই প্রার্থী বাছাই নির্বাচন কর্মসূচি বয়কট করল তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী। তাদের দাবি, আমরা প্রার্থী বাছাই করে নিয়েছি। তাই ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার কুরুন্নাহার অঞ্চলে কাপসুন্দি গ্রামে ২১১ নম্বর বুথের ঘটনা। খবর জানাজানি হতেই পুলিশ তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভপুরে অভিষেকের সভার পর এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
গত এপ্রিল মাস থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করেছেন সাংসদ অভিষেক। জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক কখনও রোড শো করছেন আবার কখনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ যাত্রা করছেন। গতকাল লাভপুর জনসভা করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দল মানুষের ভোট নিতে এসেছে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য। মানুষ ঠিক করবে তার গ্রামে কে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী করবে। অভিষেকের নির্দেশের পরও প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট বয়কট করল শাসকদলের একটি গোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আবাস যোজনা দুর্নীতি সবক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। দলের ইমেজ ঠিক করতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৫ এপ্রিল থেকে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ২ মাস ধরে জেলায় জেলায় এই জনসভা থেকে গ্রাম বাংলার মানুষের জনমত নিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল। তার নেতৃত্বেই রয়েছেন অভিষেক। বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে, অভিষেক সভা ছাড়তেই গণ্ডগোল। ব্যালট বাক্স নিয়ে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যেই চলছে হাতাহাতি। সেই ছবি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ব অনেকটাই এফেক্ট করবে। যদিও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, নির্বাচনে সবাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবে। তাই কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে বলেও দাবি দলীয় নেতৃত্বের।