কলকাতা: ন’বছর পর ছোট পর্দায়(Small Screen) প্রত্যাবর্তন, তাও আবার নায়ক হিসেবে— অভিনেতা(Actor), পরিচালক(Director), এবং প্রযোজক(Producer) সৌরভ চক্রবর্তী(Sourav Chakraborty)র জার্নিটা কি সহজ ছিল! প্রশ্নটা ছিল তাঁর অনুরাগীদের মনে, যাঁরা ভেবেছিলেন সৌরভ হয়তো অভিনয় ছেড়ে পাকাপাকিভাবে পরিচালকের চেয়ারেই বসেছেন।
কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’(lakshmir jhapi)র ‘গভীর’ চরিত্রে ফিরলেন সৌরভ। দীর্ঘ বিরতির পর ক্যামেরার সামনে কেমন লাগছে? সৌরভের উত্তর, “সত্যিই ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন:কাজলের জন্মদিনে অজয় দেবগন ‘মজাদার’ কি লিখলেন!
ধারাবাহিকটির গল্প বাস্তব থেকে নেওয়া, চিটফান্ডে জড়িত মানুষের দুর্দশা আমি দেখেছি।” তবে ফেরার আগে তাঁর মনে দ্বিধা ছিল, নয় বছরে ছোট পর্দার পরিবেশ কতটা বদলেছে, আর দর্শক তাঁকে আবার গ্রহণ করবেন কি না। সৌরভ নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, কারণ এত বছর পরেও দর্শক তাঁকে মনে রেখেছেন।
পরিচালনার চেয়ে প্রযোজনায় বেশি আগ্রহী
ধারাবাহিক করতে গিয়ে কি পরিচালনার কথা মনে পড়ে? এই প্রশ্নের জবাবে সৌরভ স্পষ্ট জানান, “ধারাবাহিক পরিচালনা করার ইচ্ছা আমার নেই। কারণ, পরিচালকদের কাঁধে রোজ একটা নির্দিষ্ট পর্ব শেষ করার চাপ থাকে, রেটিং নিয়ে ভাবতে হয়— এই ক্ষমতা আমার নেই।” বরং তিনি ধারাবাহিক প্রযোজনায় বেশি আগ্রহী, এবং সম্প্রতি তিনি একটি চ্যানেলের জন্য ১০০ দিনের একটি ধারাবাহিক প্রযোজনাও করেছেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, ছোট পর্দায় ফিরলে নায়ক হয়েই ফিরবেন।
নতুন নায়িকার সঙ্গে রসায়ন
‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’তে সৌরভের নায়িকা শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়(Suvasmita Mukhopadhya), যিনি বয়সে অনেক ছোট এবং ধারাবাহিকের দুনিয়ায় নতুন। তাঁদের রসায়ন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ বলেন, “আমাকে নিয়েই আমার বেশি ভয় ছিল। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, শুভস্মিতা খুবই পরিশ্রমী এবং শান্ত স্বভাবের।
আমাদের মধ্যে দ্রুত পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে, তাই রসায়ন নিয়ে চর্চা হচ্ছে।” সৌরভ নিজেকে ‘প্রেমিক’ স্বভাবের বলে দাবি করেন, তাই প্রেমের গল্পে কাজ করতে তাঁর ভালো লাগে।
অন্য এক জনপ্রিয় জুটির প্রসঙ্গ এলে তিনি নিজেকে ‘বহিরাগত’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন যে তাঁর এই বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, তাঁর ধারাবাহিকে নায়িকা খুবই পরিণত, তাই তাঁদের কোনো সমস্যা নেই।
কবিতার ‘প্রেমিক’ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সৌরভ চক্রবর্তী শুধু একজন অভিনেতা বা পরিচালক নন, তিনি একজন কবিও। তাঁর লেখা প্রেমের কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। “বুকের ভিতর নৌকাগুলোর বাড়ছে দাবি / আর কত দিন মেঘগুলোকে বলতে যাবি / বৃষ্টি হতে…”, এমন কবিতা তাঁর লেখার স্টাইলকে তুলে ধরে।
যে মানুষটি এত প্রেম ধারণ করেন, তিনি কি কোনোদিন ‘সইয়ারা’র মতো প্রেমের ছবি বানাবেন? সৌরভের দৃঢ় উত্তর, “অবশ্যই বানাব।” তাঁর মতে, এই যন্ত্রসর্বস্ব যুগে মানুষ প্রেম থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, তাই তারা প্রেমের ছবি দেখতে হল ভরিয়ে দেয়। যত বেশি মানুষ প্রেম থেকে দূরে যাবে, ততই বেশি করে প্রেমের ছবি তৈরি হবে।
দেখুন অন্য খবর: