কলকাতা: অনেকদিন পর আবার পর্দায় ফিরছে ফেলুদা। হ্যাঁ, প্রায় ছয় বছর পরে ‘হত্যাপুরী’ ছবিতে ফেলুদাকে আবার দেখা যাবে। ছবি নিয়ে পরিচালক সন্দীপ রায় এক আড্ডায় বসে ছিলেন। শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।
পরিচালক জানালেন জোর কদমে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ব্যস্ততার মধ্যেই সময় কাটছে বলা যেতে পারে। ফিনিশিং কাজ চলছে আর কি। পরিচালকের কথায় শুটিং এর চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় পোস্ট প্রোডাকশনের সময়।
ছবির প্রচার নিয়ে পরিচালক সন্দীপ রায় জানালেন, “এখন ছবি একটা পণ্য। ছবি শ্যুটিংয়ের থেকে প্রচারে বেশি খাটুনি। গত কয়েকটা ছবির অভিজ্ঞতার পর এখন এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।” হত্যাপুরির প্রযোজক বদলেছে। সেই নিয়ে কি এসভিএফ- এর সাথে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে? এই প্রসঙ্গে সন্দীপ রায় জানান, “না। কারোর সঙ্গেই সম্পর্কে কোনো তিক্ততা আসেনি। এই হাতবদলটা খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে। একটা আশঙ্কা ছিল ছবিটার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। কিন্তু সেটাও উতরে দেওয়া গেছে। যে অংশগুলোর আউটডোর শুটিং ছিল সেগুলো ইনডোরেই সেরে ফেলেছিলাম।”
আরো পড়ুন: Shruti Das:বিস্ফোরক শ্রুতি
প্রসঙ্গত, হত্যাপুরিতে দর্শক প্রথমবার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে দেখবে ফেলুদা হিসেবে, প্রবাসী বাঙালি এই অভিনেতা ফেলুদা হিসেবে কতটা সরগর বাংলায়? উত্তরে পরিচালক জানান, “ইন্দ্রনীলকে পছন্দ করার পর অনেকেই কথা শুনিয়েছিল আমাকে। কারণ ওর বাংলাটা প্রবাসীদের মতো। তবে সেটা কিন্তু পুরোটা ঠিক নয়। ২০১৫ সালে ফেলুদা হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে প্রথম আমার কাছে আসে ইন্দ্রনীল। কিন্তু সেই সময়ের ইন্দ্রনীল আর এখনের ইন্দ্রনীলের মধ্যে অনেক তফাৎ। ও অনেকটা উন্নতি করেছে। আর শুধু ফেলুদার কিছু নির্দিষ্ট লব্জের সময় এক বার আড়চোখে তাকিয়ে নিত আমার দিকে। নিজেকে প্রস্তুত করেই ও ফ্লোরে এসেছিল। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় এটাই যে, ও কাউকেই অনুকরণ করেনি।” সবশেষে একটাই প্রশ্ন, ‘হত্যাপুরী’-র পর কি আবার ফেলুদা ফিরবে? উত্তরে তিনি জানালেন, “যদি ফেলুদার অনুরাগীরা এই ত্রয়ীকে পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই ফিরবে।”