কলকাতা: একটা বিয়ে আর তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। আশীষ বিদ্যার্থী ৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। আর তাই নিয়ে টলি থেকে বলি, ফেসবুক থেকে টুইটার, ইন্সটা – আলোচনার শেষ নেই। মুষ্টিমেয়র বক্তব্য বেশ করেছেন। আর সংখ্যাগরিষ্টের প্রতিক্রিয়া হলো – ছি ছি। কিন্তু কেন ছি ছি সেটা ঠিক পরিষ্কার হচ্ছে না। কারোর মতে উনি নাকি প্রথম স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দেন নি। কারোর মতে ৬০ বছরে বিয়ে! মানে ৫৮ বা ৫৯ এ বিয়ের পিঁড়িতে বসলে অসুবিধে ছিল না! আবার কারোর মতে বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতায় এসে এই পরকীয়া চলছিল। স্ত্রী জানতে পেরে নাকি বিশাল ঝামেলা হয় এবং তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এভাবেই গল্পের গরু গাছে উঠে হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। অবশেষে নেটদুনিয়ায় এই ‘যেমন খুশি গল্প বলো’ থামাতে আসরে নামলেন আশীষের প্রথমা স্ত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া কন্যা রাজশি ওরফে পিলু বিদ্যার্থী। পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন যে গত অক্টোবরে তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিউচুয়াল ডিভোর্স করেছেন এবং এখনো তাদের মধ্যে খুব ভালো যোগাযোগ আছে এবং কোনো ধরণের মনোমালিন্য নেই। পিলুর কথায়, ” আমরা মিডিয়া ব্রডকাস্টিং না পিআর নই যে ঘরের কথা ঢাক পিটিয়ে প্রচার করবো। দীর্ঘ ২২ বছর আমরা একসাথে ছিলাম, বহু ভালো সময় কাটিয়েছি, সারা দুনিয়া ঘুরেছি, বহু স্মৃতি আমাদের। কিন্তু একটা সময় এসে আমাদের দুজনেরই মনে হয়েছে যে আমাদের ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনা, দেখার আঙ্গিক অনেকটাই আলাদা হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই উচিত। জীবনের এই জায়গায় এসে আমরা দুজনেই মনে করি যে প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে তার জীবনের প্রতি, তার স্বপ্ন পূরণের প্রতি। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে কিন্তু কোনো মতবিরোধ হয়নি। এবং আমাদের পুত্রও আমাদের ব্যাক্তিগত অবস্থান সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত। এবং এটাও আমি পরিস্কার ভাবে বলে দিতে চাই যে আশীষ কখনো কোনোদিন আমার সাথে প্রতারণা করেনি। এখনো আমি জানি যে আমি কোনো সমস্যায় পড়লে ও সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পরবে সেটার সমাধানে। আমি জানি গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কি ধরণের মন্তব্য ভেসে আসছে আশীষকে নিয়ে। এটাও শুনলাম যে ও দ্বিতীয়বার বিয়ে করবে বলেই নাকি আমাদের বিচ্ছেদ হয়। এটা একটা সম্পূর্ণ মিথ্যে গল্প। ওর জীবনে একজন সঙ্গী দরকার তাই ও বিয়ে করেছে। আমার বিয়ের দরকার নেই তাই আমি করছিনা। আমার সঙ্গীর দরকার হলে আমিও করতাম। কারোর সম্পর্কে কিছু না জেনে, কারোর ব্যাক্তিগত জীবনবোধ সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা না নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করাটাও আসলে একধরণের অশ্লীলতা এবং আমাদের সমাজে সেই অশ্লীলতার ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্বাস করুন আমরা দিব্যি আছি, আমাদের ভালো থাকতে দিন এবং আপনারাও ভালো থাকুন।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.