আগামী ১২মে মুক্তি পেতে চলেছে ঋতাভরী চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘ফাটাফাটি‘।ছবি মুক্তির আগে ছবির প্রচারে বেজায় ব্যস্ত এই দুই তারকা।ছবি নিয়ে অকপট আড্ডায় অভিনেত্রী।
ছবির জন্য কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন অভিনেত্রী!
জানা গেছে, এই চরিত্রের জন্য অভিনেত্রীকে প্রায় ১৯ কিলো ওজন বাড়াতে হয়েছিল। অভিনেত্রী জানান, “অস্ত্রোপচারের ফলে আমার ৫-৬ কিলো ওজন তো বেড়েই ছিল। এরপর ছবির জন্য আরো ১৯ কিলো ওজন বাড়াই। সবমিলিয়ে ২৫ কিলোর বেশি প্রায়। আমাকে পুরোপুরি এই চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “ওজন বাড়িয়ে ফেলার জন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, এনার্জি লেবেল পড়ে গিয়েছিল, তারপর সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, মাটিতে বসলে ওঠা, খুব সমস্য়া হত। কিন্তু ওজন না বাড়াল আমি চরিত্রটা ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না। কারণ এই ছবিতে আমার চরিত্রটি একটি মোটা মেয়ের চরিত্র। আর যাদের ওজন বেশি তাদের হাঁটাচলা, ওঠা-বসা সবকিছুই অন্যদের থেকে বেশ আলাদা হয়। তাই ওজন না বাড়ালে সেগুলি আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না।”
ওজন বাড়ানোর জন্য কি কি করেছিলেন অভিনেত্রী? তাঁর কথায়, “আমি আমার নিউট্রিশনিস্টকে ফোন করে বলেছিলাম যে, একটা চরিত্রের জন্য প্রায় ২০ কিলো বাড়াবো। সে তো শুনে অজ্ঞান হয়ে যাবে মনে হয়েছিল। এদিকে আগে থেকেই ৬ কিলো বেড়ে গেছিল ওজন। এরপর থেকে আমার খাওয়ায় পাতে লুচি ও আলুর পরিমাণ বাড়তে লাগল। আমার নিউট্রিশনিস্ট যদিও ফাস্টফুড ওয়েট চাইছিলেন না, বলছিলেন হেলদি ওয়েতে ওজন বাড়াতে। কারণ, ফাস্টফুডের ওজন ঝরাতে পরে অনেক প্রবলেম হয়। আমি তো নিজেই পিৎজা থেকে শুরু করে পছন্দে সবকিছু খেতে শুরু করে দিয়েছিলাম। আমি আসলে খেতে বেশ ভালোবাসি, ফুডি। তাই ওই সময়টা বেশ মজা পেয়েছিলাম।” তিনি আরো জানান, “এদিকে পীরের ছবিটার ছবিটার জন্য অনেকটা রোগা হয়ে হবে। ২৫ কিলোর মধ্যে ১৯ কিলো কমিয়েছি। এখনো আরো কমাতে হবে। যদিও আমি হেলদি ভাবেই ওজন কমাতে চাই। শরীরকে জোর করতে চাই না।”