করোনা পরিস্থিতির কারণে সিনেমা থেকে থিয়েটার সর্বত্র আটকে রয়েছে নানা ছবি ও নাটকের প্রোডাকশন। এরই মধ্যে ‘চেতনা’ নাট্য গোষ্ঠী আগামী ২০২২ সালে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হবে।প্রসঙ্গত লকডাউনের কারণে নাটকের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ। তাই নতুন কোন নাটকের মঞ্চস্থ হচ্ছেনা । নিজেদের মতো রিহার্সাল চললেও মঞ্চ থেকে দূরেই রয়েছে নাট্যকর্মীরা। ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠির তরফে পরিচালক ও অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায় জানান, ” এই বছর মানে ২০২১ সালে চেতনা নাট্য গোষ্ঠীর উনপঞ্চাশ বছর ।আর আগামী ২০২২ সালে পঞ্চাশ বছর হবে, অনেক পরিকল্পনা আছে, খুব বড় করে একটি নাট্য মেলার আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে। বাংলার বাইরে থেকেও নাট্য গোষ্ঠীদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা আছে, তবে কোভিড এর কারনে কিছুই পরিকল্পনা রূপ দিতে পারছিনা। তবে এই বছর আমরা উনপঞ্চাশে পা দিচ্ছি। যদিও কোভিড এখনও রয়েছে, তাই ইচ্ছে আছে আনেক কিছুই, তবে কতটা কিছু করতে পারবো জানিনা। তবে ইচ্ছে আছে এবারে চেতনার জন্মদিনে ছোট করে একটি নাট্য কর্মশালা আয়োজন করবো। এটা আমার লাস্ট অপশন।
প্রসঙ্গত গত চার বছর ধরেই সুজন মুখোপাধ্যায় এই নাট্য কর্মশালা আয়োজন করছেন। এই নাট্য কর্মশালা থেকেই অভিনেতা নিয়ে নাটক ও মঞ্চস্থ করেছেন। এই বার এই কর্মশালা পঞ্চমবার হতে চলেছে।
১৯৭২ সালে ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠির সূচনা করেন প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব অরুন মুখোপাধ্যায়। এই গোষ্ঠীর নাটকের মধ্যে ‘মারিচ সংবাদ’, ‘জগন্নাথ ‘, ‘চিরকুমার সভা’, ‘ ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘উল্লিখিত, ‘ভালো মানুষের পালা’, মগন রাজার পালা, খাসিরাম, কোতওয়াল, কাঁঙাল মালসাট, ইত্যাদি।
কোভিডের কারণে সব রকম শিল্প কর্মেই বাধা রয়েছে। তবে এর মধ্যেই নতুন পরিকল্পনা চলছে। পরিচালক ও অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায় আশাবাদী খুব শীঘ্রই সব স্বাভাবিক হলে খুব ভালো ভাবেই চেতনা নাট্য গোষ্ঠীর পঞ্চাশ তম জন্মদিন পালন করা হবে।