‘মিসেস ইউনিভার্স ২০২২’ এর খেতাব জিতলেন শ্বেতা যোশী। তার জন্ম অমৃতসর শহরে। সেখানেই তিনি স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। বিয়ের পর বি-এডও করেছেন সেখান থেকেই। শ্বেতার স্বামী কর্নেল রমন দাহারা হায়দ্রাবাদে কর্মরত। স্বামীর কাছ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা পান তিনি। বিয়ের পরেও সংসার সামলে সেটা তার লক্ষ্যে সাফল্যের পথে এগিয়ে গেছেন। শ্বেতার বয়স ৪২ বছর। তাঁর মেয়ের বয়স ১৯ বছর এবং ছেলের বয়স ১৫ বছর। ফ্যাশন দুনিয়ার প্রতি তার আকর্ষণ প্রথম থেকেই। ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন ফিল্ডে তিনি নাম করতে চেয়েছিলেন। এমনকি বিয়ের পরেও আর্মি ইভেন্টগুলোতে বহুবার পার্টিসিপেট করেছেন তিনি। কিন্তু ইন্ডিভিজুয়াল প্রতিযোগী হিসেবে এই প্রথম কোন কম্পিটিশনে শ্বেতা সাফল্য পেলেন। ২২ বছর পর সে তার স্বপ্ন পূরণ হলো। তার স্বপ্ন পূরণের পিছনে পুরো পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল বলে শ্বেতা নিজেই জানিয়েছেন। শ্বেতা বছর আটেক আগে ফিটনেস সার্টিফিকেশন করেছেন। তিনি আর্মি পরিবারে ফিটনেস ট্রেনিং দেন। নিজের ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন শ্বেতা।
তার খুব ইচ্ছে তিনি এমন কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে জড়িত হবেন যেখানে মেয়েদের ফিটনেস নিয়ে উৎসাহিত করা হয়। শ্বেতার কথায় তিনি এই ফ্যাশন দুনিয়ায় আরো আগেই আসতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তা হয়ে ওঠেনি। এরপর এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আমি যখন জানতে পারি তখন জয়পুরে আয়োজিত ‘মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০২২’ ফাইনাল ইভেন্টে দিন আমার নাম প্লাটিনাম ক্যাটেগরিতে উইনার ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আগে তিনদিনের গ্রুমিং সেশনে ২২ মহিলা অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিযোগিতাটি প্লাটিনাম (৩৫ থেকে ৪৭ বছর) এবং ক্লাসিক (২১ থেকে ৩৫ বছর) দুটি বিভাগে সংঘটিত হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগিরা এতে অংশগ্রহণ করেছিল। শ্বেতা প্লাটিনাম বিভাগে বিজয়ী হয়েছিল। উল্লেখ্য, উভয় বিভাগের বিজয়ীরা ২২ নভেম্বর দুবাইতে নির্ধারিত মিস ওয়ার্ল্ড এবং মিসেস ইউনিভার্স এ অংশগ্রহণ করবেন।