Wednesday, June 11, 2025
Homeবিনোদনউমার ঘরে ফেরার গাঁথা

উমার ঘরে ফেরার গাঁথা

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উমার আগমন বার্তা

Follow Us :

আগামী মাসে দুটি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজোর আগে উমার ঘরে ফেরার গাঁথা পরিবেশন করা হবে। প্রথম পর্বের শিরোনাম ‘দুগ্গী এলো ওই’। দ্বিতীয় পর্বটির নাম ‘নবদুর্গা ও মহিষাসুরমর্দিনী’। আগামী ৭ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৫.৩০-এ নজরুল মঞ্চে প্রথম পর্বটি পরিবেশিত হবে। দ্বিতীয় পর্বটি আগামী ১১ই অক্টোবর রবীন্দ্র সদনে একই সময়ে পরিবেশিত হবে।রেড ক্রিয়েটিভ আর্ট এন্ড ইভেন্ট এবং বেঙ্গল ওয়েব সলিউশনের যৌথ উদ্যোগে হবে এই অনুষ্ঠান ।
প্রথম পর্বের ভাবনায় বাঙালির দুর্গা পুজো এক মহোৎসব। বাংলার নিজস্বতার সঙ্গে বহিঃবঙ্গের নানান প্রভাব মিলে মিশে এক হয়ে গেছে দুর্গোৎসবের কলেবরে। বিচিত্র রং, রূপ, আকার, ভাবরসের সমাবেশে এই উৎসব কেবল বাঙালির নয়, সমগ্র পৃথিবীবাসীর কাছে এক বিস্ময়। তাই তো দুর্গোৎসবের মধ্যেই বাংলার বিস্তৃত বহুমুখী সংস্কৃতির চিত্র সুস্পষ্ট রূপে ধরা পড়ে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পথ বেয়ে চলতে চলতে দুর্গা পুজো প্রাচীন জৌলুসপূর্ণ ভাব ও গম্ভীর রূপটি অনেকাংশে ঢাকা পড়েছে আধুনিকতার অভিনব জাঁকজমকে। এই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে, আধুনিকতাকে আঁকড়ে ধরে চললেও, অনুসন্ধিৎসু মন বার বার অতীতের পাতা ওলটায়। খোঁজে উৎসের সন্ধান। আর শিল্পীমন খোঁজে সমন্বয়ের পথ। ‘তব জয় গানে’ সেই সমন্বয়ের গানের সুর ধ্বনিত হতে চলেছে। এই জয়গান কেবল দেবীসত্তার জয়গান নয়, সংস্কৃতির জয়গান। তাই তো আমাদের অনুষ্ঠানে যেমন এই সময়ের আধুনিক গানের পরিবেশনা থাকবে, তেমন পুরোনো ধারার নানান বিষয়, নানান গান- রামায়ণ গান, কীর্তন, আগমনী, টপ্পা, লোকসঙ্গীত- যা কী না দুর্গা পুজোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে, সেসব গানেরও সগৌরব পরিবেশনা থাকবে আমাদের অনুষ্ঠানে। যেমন থাকবে নতুন ধারার শ্রুতিনাটক, তেমনই থাকবে প্রাচীন ঢাকের লড়াই। সব মিলিয়ে এক বহুমুখী বিচিত্রানুষ্ঠান।

এই প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করতে যে শিল্পীরা এগিয়ে এসেছেন তাঁদের নতুন করে পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। অনুষ্ঠানে গাইছেন বিদূষী হৈমন্তী শুক্লা, লোপামুদ্রা মিত্র, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চক্রবর্তী, অরিত্র দাশগুপ্ত, গৌরব সরকার, সুজয় ভৌমিক, সোমদত্ত ব্যানার্জি, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য। ‘শ্রুতি নাটক’-এ থাকছেন জগন্নাথ বসু ও উর্মিমালা বসু। লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন দীপান্বিতা আচার্য, পৌষালী ব্যানার্জি, তীর্থ ভট্টাচার্য ও ঋষি চক্রবর্তী। ‘রামায়ণ গান’ উপস্থাপনা করবেন বিভাবেন্দু ভট্টাচার্য। কীর্তন পরিবেশন করবেন অদিতি মুন্সী। ‘ঢাকের লড়াই’ উপস্থাপনা করবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘মহাপ্রভু ঢাকি সম্প্রদায়’, মোনা দাসের নেতৃত্বে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি একক ও যৌথভাবে সঞ্চালনা করবেন সৃজন চট্টোপাধ্যায় এবং মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়।
নবদূর্গা- একটি প্রযোজনা, যা পুরাণের প্রাচীন নবদূর্গার ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে, এই যুগের এক মানবীর মধ্যে সেই নবদূর্গার সামঞ্জস্য উদ্ভাসিত করা। এই নবদূর্গার মধ্য দিয়ে বর্তমান সমাজ, সময়কাল উঠে আসবে ভাষ্যে, আবৃত্তিতে এবং যন্ত্রসংগীতের এক সমবেত কোলাজে। এই উপস্থাপনা মঞ্চস্থ করবেন সুপরিচিত উপস্থাপক ও আবৃত্তিশিল্পী মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন বাঁশিবাদক সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, বিশিষ্ট তালবাদ্য শিল্পী সোমনাথ রায় এবং সেতারশিল্পী সুভাষ বসু ও আরও অনেকে।
মহিষাসুরমর্দিনী-এমন কোনও বাঙালি নেই যে নিজেকে এই রসাস্বাদনের থেকে বঞ্চিত রাখতে পেরেছে এবং পারবে। রচনা- বাণীকুমার, সঙ্গীত আয়োজন ও সঙ্গীত পরিচালনা- পঙ্কজ কুমার মল্লিক এবং ভাষ্য ও চণ্ডীপাঠ- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। এই ত্রয়ী এবং তাঁদের সঙ্গে সেই সময়ের বহু গুণী শিল্পী এই প্রযোজনাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অবিস্মরণীয় কালজয়ী কীর্তিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই মহিষাসুরমর্দিনী অবিকৃত রূপেই এই সময়ের শিল্পীদের দ্বারা কয়্যার এবং অর্কেস্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে মঞ্চে পরিবেশিত হতে চলেছে। সমগ্র পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং প্রয়োগে সৃজন চট্টোপাধ্যায়, চণ্ডীপাঠে- সৃজন চট্টোপাধ্যায় এবং সঙ্গীতায়োজনে দেবর্ষি মুখোপাধ্যায়। যন্ত্রানুষঙ্গে এই সময়ের বহু বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পীরা এই প্রযোজনাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। গানে রয়েছেন শমীক পাল, আইভি বন্দ্যোপাধ্যায়, রাগেশ্রী দাস, ইন্দ্রনীল দত্ত, তৃষা পাড়ুই প্রমুখ শিল্পী।

RELATED ARTICLES

Most Popular