কোরোনার প্রথম ছোবল এবং দ্বিতীয় ঢেউ ছিল অনেক বেশি আতঙ্কের। মৃত্যুভয় পিছু ছাড়ছিল না. তৃতীয়ঢেউ এলেও মানুষ যেন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে যে এবার শ্বাসকষ্ট এমন কিছু মারাত্মক হচ্ছে না. ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন এবং মহাকাশচারীদের পোশাক বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছেন না স্বাস্থকর্মীরা। আর এই ভরসাতেই নিভৃতবাস অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যস্ত জীবন থেকে একটা ব্রেকহিসেবে গণ্য হচ্ছে। সকলেই নিভৃতবাসের এই সময়কে বেঁচে নিয়েছেন নিজেকে একটু গুছিয়ে নেবার জন্য। কেউ বা ব্যাস্ত উপন্যাসের পাতায়, কেউ বা মুভি নিয়ে ব্যস্ত। আর কেজো মানুষরা ঘরবন্দি অবস্থাতেও ওয়ার্ক ফ্রম আইসোলেশন।ভোর থেকে শুরু করে রাতে অবধি কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে অভ্যেস সৌরভ গাঙ্গুলী এবং দেব এর. কোভিড পজিটিভ হলেও তারা এক মুহূর্তের জন্য কাজ থামান নি. বন্ধ ঘরে সঙ্গী মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ. সেখান থেকেই চলেছে আগামী দিনের পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্যদিকে সৃজিত, পরম, রুদ্র নিভৃতবাসের সময়টা বেঁচে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া আর মুভির জন্য। দিনভর ছোটাছুটির জন্য নাকি অনেক ছবি আর ওয়েবসিরিজ দেখা বাকি পরে গেছিলো.এই সময়টার সদ্ব্যাবহার করতে দুবার ভাবেন নি তারা। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে সোহম এবং শ্রীজাত নাকি ব্যস্ত ছিলেন বেশ কিছু বই নিয়ে। বনি রীতিমতো পুরোনো শারদীয়া নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন।তবে সময় নষ্ট করার মতো একটুও সময় নেই রাজ্ শুভশ্রীর। নিভৃতবাসে যদি সঙ্গী থাকেন অভিনেত্রী স্ত্রী তবে পরিচালকের তো সোনায় সোহাগ। দিনভর শুধু ভিডিও তুলছেন বৌ এর. আর আদরের কযেকটা ভিডিও আপলোড করে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্ত্রীও রীতিমতো সাধ দিচ্ছেন তাতে। সকালে কপালভাতি করার সময় সাদা পোশাক পরে, হালকা মিউজিক চালিয়ে, মোমবাতির আলোয় যোগাসনে মোহময়ী শুভশ্রী। সামনে ক্যামেরা কাঁধে সফল পরিচালক রাজ্। এদৃশ্য ভাইরাল না হয়ে পারে? তবে রাজ্ শুভশ্রী দুজনেই একটু বিমর্ষ ছোট্ট যুবানকে ছেড়ে থাকতে। অতএব মুহুর্মুহু ভিডিও কল এ ছেলের সঙ্গে আড্ডা। সেই ভিডিও কলের ভিডিও ও তুলে রাখছেন রাজ্। সত্যি বিচ্ছিন্নবাস না হলে আমরা জানতেই পারতাম না এই দুনিয়ায় একা থাকাটাও কত কঠিন।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.