হাতের পাঞ্জাটাই উড়ে যাবার জোগাড় হয়েছিল একবার বিগ-বি আমিতাভ বচ্চনের। ষাটের দশকের তখন তিনি খ্যাতির মধ্য গগনে। শুটিংয়ে আহত হয়ে প্রায় মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে এসেছিলেন ‘শাহেনশাহ’। তারপর সেটা ছিল ৮৩’ দীপাবলীর রাত । দিল্লির গুলমোহর পার্কের বাড়িতে দীপাবলি উদযাপন করছিলেন অমিতাভ। হঠাৎই বাঁ হাতে একটা তুব্রি ফেটে গিয়েছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে বাঁ হাতের পাঞ্জার ছাল চামড়া খসে পড়ে ছিল। বাঁ হাতের পাঞ্জাটাই প্রায় উড়ে যাবার জোগাড় হয়েছিল সেদিন। কোনরকমে রক্ষা পেয়েছিল আঙুলগুলো। তখন বিগ-বির ‘পুকার’ ও ‘কুলি’ ছবির রিলিজ হবার সময়। তখন সদ্য শুরু হয়েছে ‘শরাবি’ ছবির কাজ। কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে তুবড়িতে পুড়ে যাওয়া হাত নিয়েই সেদিন ‘শরাবি’র কাজ শুরু করেছিলেন অমিতাভ। শুটিংয়ে ক্যামেরার সামনে হাতের হদ আড়াল করতে অভিনব পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলেন সেদিনের বলি তারকা।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে কি আমি তো নিজেই একবার জানিয়ে ছিলেন সেই সময় তাঁর হাতের অবস্থা সত্যিই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আঙ্গুলগুলোতে হাড়ের উপর মাংস-চামরা কিছুই ছিল না। স্কিন গ্রাফটিং করতে হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর বেশ কিছুদিন আঙুলগুলো স্বাভাবিক ভাবে নাড়াতে পারতেন না অমিতাভ। প্রতিদিন নিয়মিত হাতের ব্যায়াম করতে হতো। তারপর আস্তে আস্তে তার আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক সঞ্চালন শুরু করে। তবে সেই সময় তীব্র হতাশা তাঁকে গ্রাস করেছিল তা তিনি বলেছিলেন। তার মধ্যেই শুটিং শুরু করেছিলেন অমিতাভ। হাতের সেই ক্ষত আড়াল করতে কখনো ‘ইনকিলাব’ ছবিতে শুটিংয়ে দেখা গিয়েছিল হাতে রুমাল। আবার ‘শারাবি’র প্রচুর সিক্যুয়েন্সে পকেটে এক হাত ঢুকিয়ে রাখতে দেখা গিয়েছিল বিগ-বিকে। আসলে তিনি যখনই যা করেন তাই হয়ে যায় স্টাইল স্টেটমেন্ট। দর্শকরা তখনও বিগ-বির সেইসব স্টাইল দেখতেই হলমুখি হত।