কঠোর বিধিনিষেধের গেরোয় কলকাতা চলচিত্র উৎসব। যে উৎসবে একসময় মানুষ সিনেমাহল এ দাঁড়িয়ে বা মেঝেতে বসে সিনেমা দেখেছে, সেখানে এবার ৫০ শতাংশের বেশি দর্শকের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। আর কিভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে, কোরোনার সংক্রমণ বাঁচিয়ে এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই রাজ্ চক্রবর্তী, পরমব্রতদের। জানা গেছে আগামী ৭ই জানুয়ারী নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হবে এই উৎসবের। কিন্তু উদ্বোধনের সময় নবান্ন সভাগৃহে কে কে উপস্থিত থাকবেন, যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একসময় অমিতাভ বচ্চন, মহেশ ভাটের কণ্ঠে গমগম করতো সেই অনুষ্ঠান এবার কতটা গ্ল্যামারের দ্যুতি উপভোগ করবে? ভার্চুয়ালি কি সেই আগের অনুষ্ঠানের গরিমা মহিমা ধরে রাখা সম্ভব? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই দিশাহারা উৎসব কমিটির সদস্যরা। জানা গেছে শতবর্ষে সত্যজিৎ রায়কে সন্মান জানিয়ে তার চারটি ছবি, পরশপাথর, নায়ক, পথের পাঁচালি এবং সতরঞ্চ কি খিলাড়ি দেখানো হবে। শ্রদ্ধা জানানো হবে চিদানন্দ দাশগুপ্তকে। এছাড়াও সম্মান জানানো হবে বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত এবং দিলীপ কুমারকে। প্রদর্শিত হবে উত্তরা, আজিব কিস্সা, মুঘল ই আজম, মধুমতি সহ বেশ কয়েকটি ছবি। উৎসব কমিটির জনৈক সদস্যের মতে, ছবির গুণমান বা চাহিদা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। দর্শকসংখ্যা নিয়েও আমরা ভাবছি না। আমরা শুধু ভাবছি কিভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে দর্শকরা নিরাপদে ছবি উপভোগ করতে পারেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং সকলেই যাতে পছন্দমতো সিনেমা দেখার সুযোগ পান – সেটাতেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
এখন দেখার এই অবেলায় চলচ্চিত্র উৎসব কোনো নতুন দিশা দেখাতে পারে কি না।