করোনা জীবনকে থামাতে পারেনি। এই মহামারির মধ্যেও মানুষ লড়াই ছাড়েনি। বহু ছবির শ্যুটিংয়ের কাজ বন্ধ থাকলেও এখন আবার সেই ছবির কাজ শেষ করছে পরিচালকরা। কোভিডের চোখ রাঙানি পরিচালক প্রযোজকদের নতুন করে ভাবাচ্ছে, ছবি তৈরির ক্ষেত্রে নতুন নতুন টেকনিক ব্যবহার করা হচ্ছে। আভিনেতা সৌমজিৎ মজুমদারকে সকলেই তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য চেনেন। এবার তিনি পরিচালনা ও প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন। মিউজিক্যাল ছবি করছেন। ছবির নাম ‘#হোম কামিং’। এই ছবির তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ টেকনিক ব্যবহার করছেন পরিচালক, অনেকটা প্রয়োজনের তাগিদেই ছবি তৈরির সময় এমন ভাবে চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে, যেখানে ছবির মধ্যে প্রতি ১৫ মিনিটের ব্যবধানে গল্পে মোচড় থাকবে। অর্থাৎ বড় পর্দার পর ওটিটিতে যখন ছবিটি দেখানো হবে তখন এপিসোডের সাসপেন্সটা থাকবে।
এই ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ,প্রথম লকডাউনের আগে। তবে করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায় শ্যুট। এর পরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর আগে দুর্গাপুজো সময়ে অনেকটা শ্যুট সেরে ফেলেছিলেন পরিচালক। এখন ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। পরিচালক প্রযোজক সৌমজিৎ মজুমদারের মতে সব ঠিকঠাক চললে এই মিউজিক্যাল ছবিটি আগামী ডিসেম্বরে বড়পর্দায় মুক্তি পাবে।
মিউজিক্যাল এই ছবির মূল গল্প হল একটি নাট্য দলের সদস্যরা বহুদিন পর রিইউনিয়ন করে। একটি রাতের মধ্যে নানা গল্প উঠে আসে। কসমোপলিটিন ভাষায় সংলাপ রয়েছে। পরিচালকের কথায়, বাংলা ছবি হলেও বড় পর্দার পর ওটিটি মাধ্যমেও দেখানো হবে এই ছবি। তাই হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সংলাপ থাকছে। মিউজিক্যাল এই সিনেমায় মোট ছয়টি গান আছে। তিনটি হিন্দি ও তিনটি বাংলা। হিন্দির জন্য গানের সুর দিয়েছেন সমীর রাহাত। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন নীল মুখোপাধ্যায়।
বলিউড ,টলিউড মিলিয়ে ২৮ জন অনসম্বল কাস্টিং রয়েছে এই ছবিতে। যেমন তুষার পান্ডে, সায়নি গুপ্ত, প্লাবিতা বর্তাকর, হুসেন দালাল, সোহম মজুমদার, তুহিনা দাস, সায়ন ঘোষ, পূজারনি ঘোষ প্রমুখ।পরিচালকের কথায় ‘#হোম কামিং ‘ ছবিটি সেই অর্থে সত্যিই হোম কামিং ,কারণ এই ছবির সব কলাকুশলীরা একটা সময় কলকাতায় নিজের কেরিয়ার শুরু করে এখন বলিউডে প্রতিষ্ঠিত, তারাই এই ছবির সঙ্গে যুক্ত।