সদ্যই একটি গান রেকর্ডিং করলেন সংগীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র।শ্রীজাতর কথায় জয় সরকারের সুরে গানটি গেয়েছেন লোপামুদ্রা।মাস দেড়েকের মধ্যে মুক্তি পাবে এই গান।গানটিতে থাকছে বেশ কিছু চমকও।যদিও কি সেই চমক,তা শ্রোতাদের কাছে সারপ্রাইজই রাখতে চান লোপা।এই গানটি ছাড়া আপাতত নতুন কোনও কাজ নেই শিল্পীর হাতে।গত বছর বেশ কয়েকটি অনলাইন অনুষ্ঠান করেছিলেন লোপামুদ্রা।কিন্তু চলতি বছরে করোনা পরিস্হিতিতে তাও সম্ভব হয়নি।নিজেকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না হলেও গানবাজনার পুরো জগতটাকে নিয়ে চিন্তিত লোপা।অনলাইন অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হয়না খুব বেশি সরঞ্জাম।এরফলে রোজগার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু যন্ত্র শিল্পীর।পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর মিউজিশিয়ান রয়েছেন,যারা পাহাড়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মাচা শোয়ের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন।তাদের রোজগার এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এই সমস্ত যন্ত্রশিল্পীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তিত লোপা।লোপামুদ্রার মতে,গান – বাজনা কোনও দিনই শেষ হতে পারেনা।চলতি বছর লকডাউন থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছেন লোপা।বড়দের থেকে ছোটদের গান শেখাতেই তিনি বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।গানবনে ছোটদের সঙ্গে থাকলে মনটাও ভালো থাকে লোপার।অবসর সময় বাড়িতেই সময় কাটছে লোপার। নিজের পছন্দ মত রান্না করে,গান শুনে এবং সিনেমা দেখে দিন কাটলেও নিজের বুটিক প্রথাকে নিয়ে কিছুটা চিন্তিত লোপামুদ্রা।সামনেই পুজো আসছে,কিন্তু করোনা পরিস্হিততে বুটিকের জন্য নতুন কালেকশন আনতে বাইরে যেতে পারছেননা তিনি।বুটিকের এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রচুর হস্তশিল্পীর জীবিকা নির্বাহ।পরিস্হিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় অল্প অল্প করে হাতের কাজ করা শুরু করেছেন অনেকেই।এই পরিস্হিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সকলকে হতাশা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন লোপা।