কলকাতা: টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরী( Mahua Roy Choudhury) ১৯৮৫ সালের ২২ শে জুলাই মারা গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর দিনে প্রকৃতির বুক চিরে নেমে এসেছিল বৃষ্টি। টলিউডের আকাশে নেমে এসেছিল অন্ধকার। মাত্র ২৭ বছরের এক প্রতিভা মই অভিনেত্রীর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার মৃত্যু রহস্য আজও অধরা। কয়েক দশক কেটে গেলেও তার অভিনয় প্রতিভার কথা এখনো বাঙালি মনে রেখেছে।
আরও পড়ুন:বলিউডে ৩ খানের রেকর্ড ভাঙল ‘সাইয়ারা’!
তাই তার বায়োপিক(Biopic) ‘গুনগুন করে মহুয়া'(Gun Gun Kore Mahua) তৈরির খবর কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। গতকাল ছিল তার মৃত্যু দিবস প্রকাশিত হলো প্রথম পোস্টার(Postar)। ছবির প্রযোজক রাণা সরকার(Rana Sarkar)। ঘোষণা করা হলো আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মহুয়ার জন্মবার্ষিকীতে জানানো হবে তার বায়োপিকে নাম ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন।
মোশন পোস্টারে দেখা গেল মহুয়ার জীবন ও মৃত্যু সংকেতের ঝলক। তাঁর মৃত্যু যেন একটা অলিখিত ট্রাজেডি। আজও বাংলা সিনেমার ইতিহাসে যা রহস্যাবৃত হয়ে রয়েছে। পরিচালক তরুণ মজুমদারের(Tarun Mazumdar) ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ'(Shriman Prithviraj) ছবি দিয়ে তিনি অভিনয়ে পা রেখেছিলেন। মহুয়ার প্রানবন্ত চোখ এবং সাবলীল অভিনয় আর মিষ্টি হাসি বাঙালি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল।
মহুহার জীবনে হঠাৎ নেমে আসা অন্ধকার তার বায়োপিকে নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। মোশন পোস্টারে দেখা গেল মহুয়ার একটি সাদাকালো হাসিমুখের ছবি তারপর নেমে এলো অন্ধকার। জীবনের অন্তিম মুহূর্তকে আলোছায়ায় ধরা দিল।
প্রসঙ্গত, মহুয়ার বায়োপিকের নামকরণ হয়েছে ‘গুনগুন করে মহুয়া’। তার বায়োপিকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে তার অভিনয় প্রতিভার কথা।সেই সঙ্গে শিল্পীর জীবনের টানাপোড়েন। এই বায়োপিকে মানুষ মহুয়া এবং অভিনেত্রী মহুয়া দুজনকেই তুলে ধরা হবে। মহুয়া কী আত্মহত্যা(Suicide) করেছিলেন! যা নিয়ে আজও রয়েছে জিজ্ঞাসা চিহ্ন! তিনি কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, নাকি ছিল সম্পর্কের টানা পড়েন অথবা পেশাগত চাপ! যা আজও প্রকাশ্যে আসেনি। ‘গুনগুন করে মহুয়া’ কী সেইসব অন্ধকার দিকে আলো ফেলবে!
ছবিটি পরিচালনা করবেন সোহিনী ভৌমিক(Sohini Bhowmik)। এই বায়োপিককে বাস্তবায়িত করার জন্য গবেষণা চিত্রনাট্যে যাদের অবদান তারা হলেন দেবব্রতীম দাশগুপ্ত(Debopratim Dasgupta) এবং সোহিনী।
দেখুন অন্য খবর: