বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে চিত্রগ্রাহক রোহান শ্রেষ্ঠার প্রেমের গুঞ্জন কয়েক বছর ধরে বলিউডে শোনা যাচ্ছিল। লকডাউনের মধ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে বেশ কয়েকবার রোহানকে একসঙ্গে দেখা গেছে। যদিও তারা কেউই প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের বিয়ের খবরের গুঞ্জন খুব জোরালো হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তাঁরা সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছেন। এর আগে ফারহান আখতারের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুরের সম্পর্ক নিয়েও বেশ চর্চা হয়েছিল। এমনকি এমনও শোনা গিয়েছিল যে ফারহানের বাড়ি থেকে শ্রদ্ধা কে তার বাবা শক্তি কাপুর বের করে নিয়ে এসেছিলেন। কারণ তাদের পরিবার থেকে ফারহানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক তারা মেনে নেন নি। সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে সাম্প্রতিক অতীতে প্রেমিকার সঙ্গে শ্রদ্ধার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। চলতি বছরের প্রথম থেকেই তাদের নিজেদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তা চরম আকার নেয়। যারই পরিণতি তাদের বিচ্ছেদ। যদিও এ ব্যাপারে দুজনের কেউই কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি।জানা যাচ্ছে, এ বছর রোহনকে ছাড়াই গোয়ায় নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করেন শ্রদ্ধা। নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই সেলিব্রেট করেন তিনি।৩ মার্চ ছিল শ্রদ্ধার জন্মদিন। গত ফেব্রুয়ারিতেই রোহনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেন অভিনেত্রী। বিচ্ছেদের পর থেকে রোহনও নাকি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন জানা গেছে প্রায় বছর চারেক আগে থেকেই তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল।
তারা নাকি ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। যদিও এসব নিয়ে প্রকাশ্যে তারা কখনোই তা স্বীকার করেননি। প্রায়ই একসঙ্গে দুজনকে দেখা যেত। কখনো নৈশভোজে আবার কখনো ফ্যামিলী গেট টুগেদারে তাঁরা প্রায়ই চোখে পড়তেন। মাঝে মাঝেই যাদের বিয়ের গুঞ্জনের খবর শোনা যেত। এমনকি শ্রদ্ধার বাবা অভিনেতা শক্তি কাপুর রোহান কে মেয়ের ভালো বন্ধু বলেই মনে করতেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন,’রোহান খুবই ভালো ছেলে ছোটবেলা থেকেই ও আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করে। শ্রদ্ধা এখনো আমাকে তাঁর বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। তারা দুজন এ বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে আমি জানি না। আমার মনে হয় তারা ছোটবেলার ভালো বন্ধু’।রোহনের বাবা নামজাদা চিত্রগ্রাহক রাকেশ শ্রেষ্ঠা বলেছিলেন, দুজনেই নিজেদের পেশায় যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। তাই দুজন যদি একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা যথেষ্ট বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে। তিনি আরো বলেন, রোহন ও শ্রেষ্ঠা যদি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তিনি খুশি মনেই সব বন্দোবস্ত করে দেবেন। তাঁর কোনো আপত্তি থাকবে না।