ভোটের আগে যারা পরিবর্তন করিয়াছিল ফুল অচিরেই তারা কি হইতেছে ‘Fool’? অবশ্য এই দুজন সদ্য বিধানসভা ভোটের আগে নয় বরং অনেক প্রাক্কালেই গেরুয়া শিবিরে পদ্মাসনে বসে ছিলেন। সেই সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে সওয়াল তুলে তৃণমূল, সিপিএমকে কার্যত ধরাশায়ী করার চেষ্টা করেছিলেন অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জী এবং রুপা ভট্টাচার্য। তাদের প্রচারের বহরে মনে হচ্ছিল,এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য এবং কেন্দ্র রাজযোটক জুটি হয়ে দাঁড়াবে।
ভোটের রেজাল্ট এর পরে,এই দুই প্রাক্তন পদ্মাবত ও পদ্মাবতীর ভেঙেছে মন। তাই এবার অন্য কোন ‘ফুল’ নয় তবে ‘সিপিএম’ কেই ‘Aim’ করলেন দুজনে। সম্প্রতি, এই দুজনকে দেখা গেল, সিপিএমের
তৈরি শ্রমজীবী ক্যান্টিনের পাঁচশো দিন উপলক্ষ্যে উদযাপন করা মিছিলে। হঠাৎই এই পথ পরিবর্তন নিয়ে তারা দুজনেই ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:‘শেরশাহ’-কে করণের কুর্নিশ
কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিজেপি মনস্ক এই দুই মানুষের হঠাৎ লালপ্রীতি দেখে অবাকনেটিজেনরা। নতুন করে ভালোবাসা জন্মেছে সিপিএমের প্রতি এ অব্দি ঠিক ছিল কিন্তু দু’জনকে সরাসরি সিপিএমের মঞ্চে দেখে, বেজায় চটেছেন রাহুল ব্যানার্জি, শ্রীলেখা মিত্র।অভিনেত্রী লেখেন, ‘নিজেরকে কমিউনিস্ট বলে উল্লেখ করার মতো সাহস আমার নেই। কিন্তু, আমি বামপন্থী। বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমায় কি প্রলোভন দেওয়া হয়নি? এমনকী অন্য দলের থেকে আমায় বিধানসভার টিকিটের প্রস্তাব পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করলে আমার জীবনটাও অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু, তা আমি করিনি। বদলে যে মতাদর্শে বিশ্বাস করি, সেখানেই অনড় থেকেছি। CPIM-এর জন্য গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচারে গিয়েছি।’
অন্যদিকে রাহুল লিখেছেন, বিজেপির থেকে টিকিট না পাওয়া হতাশ প্রার্থীরা যদি এখন সিপিএমের মঞ্চে জায়গা পায় তবে তিনি এখনই দলত্যাগ করবেন।
দলবদলের এই খেলায় বঙ্গ রাজনীতি যেন সিরিয়াল এর থেকেও বেশি অভিমানী চিত্রনাট্য তৈরি করছে।