যতদিন এগিয়ে যাচ্ছে ততই তাদের ছাদনাতলার খবর সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসছে। তাদের বিয়ের সম্ভাব্য তারিখ,ভেন্যু সবই প্রায় প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেননি বলিউড যুগল। আগামী মাসেই রাজস্থানের সাতশো বছরের পুরনো দুর্গে বানানো রিসর্টে বসবে ক্যাটরিনা-ভিকির রাজকীয় বিয়ের আসর। যা নিয়ে দুই পরিবারের ব্যস্ততা এখন চরমে পৌঁছেছে। জানা যাচ্ছে আগামী ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর রাজস্থানের মাধোপুর জেলার বারওয়ারা সিক্স সেন্সেস ফোর্টে বসবে এই বিয়ের আসর। ধর্মীয় রীতিনীতি মানার আগেই মুম্বইতে হয়ে যাবে কোর্ট ম্যারেজও।
যেহেতু ক্যাটরিনা ভারতের নাগরিক নন, তাঁর রয়েছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, স্বাভাবিক কারণেই ক্রিকেটের আইনি প্রক্রিয়া একটু আলাদা হতে বাধ্য। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে ক্যাটরিনা ভিকির এই বিশেষ দিনের সমস্ত মুহূর্ত যাতে ইন্টারনেটে ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য নাকি বিয়ের কার্ডে বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কাছের মানুষদের উপস্থিতিতেই তাঁরা বিয়ে করবেন।
তবুও অনুরোধ জানানো হয়েছে ‘বিয়ে বাড়িতে যেন কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে।’ বিয়ের দিন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির পোশাকে সাজবেন মিঁয়া-বিবি। সেইসঙ্গে বিয়েতে এক বিশেষ ধরনের মেহেন্দি লাগাবেন ক্যাট। যাতে নাকি জ্বলজ্বল করবে ভিকির নাম। এই বিশেষ ধরনের মেহেন্দির দাম নাকি আকাশ ছোঁয়া। প্রায় এক লক্ষ টাকা। এতে রয়েছে বিশেষত্ব। রাজস্থানের যোধপুর বালি অঞ্চলে তৈরি হয় এই ‘সোজাত’ মেহেন্দি। সারা পৃথিবীতে এর গুণগত মান অত্যন্ত খ্যাতি অর্জন করেছে। এই মেহেন্দিতে থাকে না কোন রাসায়নিক জিনিস। সম্পূর্ণ ভেষজ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় মেয়েরা হাতে বানায় এই মেহেন্দি। ইতিমধ্যেই স্যাম্পল হিসাবে তা পৌঁছে গিয়েছে ক্যাটরিনার কাছে। যা ব্যবহার করে ক্যাটরিনা যথেষ্ট খুশি। এখন দেখার এই মেহেন্দিতে ভিকির নাম কতটা জ্বলজ্বল করে ওঠে।