সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্মার্ট দিদি’ ‘নন্দিনী ম্যাডাম’ তিনি ভাইরাল। ডালহৌসি পাড়ায় ভাতের হোটেল চালান নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়।
হাজির হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ‘দিদি নাম্বার ১’ এ।
রচনার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানালেন আগে যেখানে দিনে ২০টার বেশি প্লেট বিক্রি হত না, এখন সেখানে ৬০-৭০ প্লেট নিমেষে শেষ হয়ে যায়। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে নন্দিনী জানালেন, ছোটবেলায় অবস্থা ঠিকঠাক ছিল। তাঁর বাবার রাবারের ব্যবসা ছিল। দুই বোন তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়েছে। এমনই সময়ে নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টাকার জন্য বাড়ি, মায়ের গয়না সব বিক্রি করে দিতে হয়। তাঁর বাবার এরপর ডালহৌসিতে ২০০ টাকা রোজে চাকরি করছিলেন। আর নন্দিনী নিজেও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাইরে চাকরি নিয়ে চলে যান। তারপর বাবা দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল খোলেন। কিন্তু তাঁর মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দোকান বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সেইসময় চাকরি ছেড়ে নন্দিনী ফিরে আসেন এবং বাবার হোটেলে যোগ দেন।
জানা গেছে, নন্দিনীর বাবা রোজ সকালে বেলেঘাটা বাজারে যান। মা সবজি কাটেন। এরপর মেয়ে হাত লাগান বাবার সঙ্গে রান্নায়। তারপর সবার পেতে তুলে দেব খাবার। এদিন নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে নন্দিনীর। এদিন তিনি রচনাকে তাঁর ভাতের হোটেলে আসার অনুরোধও করেন। এদিকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তেমন কটাক্ষও জুটেছে তাঁর। একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এরম হাজার হাজার মেয়ে ভাতের হোটেল চালায়। কিন্তু তাদের রূপ নেয় বলে তারা ভাইরাল হতে পারে না।” অপরজন লেখেন, “কারণ ছাড়াই কাঁদছে। হাসি পেল দেখে। যতসব বোকা বোকা কাণ্ড।”