লিমা: পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট (New President of Peru) সে দেশের আইনপ্রণেতাদের (Lawmakers) সাধারণ নির্বাচন দু’বছর এগিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কংগ্রেসের (Congress) সামনে এনিয়ে বিলও (Bill) পেশ করবেন তিনি। গত ৭ ডিসেম্বর পেরুর ৬৪তম প্রেসিডেন্ট (President) হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বোলুয়ার্তে (Dina Boluarte)। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে (Pedro Castillo) ইমপিচমেন্ট (Impeachment) করে উৎখাত করার পর বোলুয়ার্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রেসিডেন্ট পদে উন্নিত হয়েছে। কাস্তিলোকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে হটানোর পর বিক্ষোভ প্রদর্শন হয় পেরুতে। তাতে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (General Election) হতে এখনও চার বছর বাকি রয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে গত সোমবার প্রস্তাব দিয়েছেন, আইনপ্রণেতারা চাইলে নির্বাচন এগিয়ে আনতেই পারেন এবং তিনি তার জন্য তৈরি।
পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ইমপিচমেন্ট এড়ানোর জন্য আইনসংসদ (Legislature) বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন কাস্তিলো। তাঁর জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই বোলুয়ার্তে উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কিন্তু কাস্তিলোর সমর্থকরা বলছেন, পেরুর জনগণের ভোটে বোলুয়ার্তে ক্ষমতায় বসেননি। পেরুতে নতুন করে নির্বাচন করানোর জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোও শুরু হয়েছে। সমর্থকরা তাঁদের নেতা কাস্তিলোকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও বাগযুদ্ধের আবহ
পেরু অম্বুডসম্যান অফিসের প্রধান এলিনা রিভোলার (Head of the Peru ombudsman’s Office Eliana Revollar) জানিয়েছেন, দু’দিনের বিক্ষোভ প্রদর্শনে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। সকলেই গুলির আঘাতে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় ৩২ জন নাগরিক এবং ২৪ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
গত পাঁচ বছরের হিসেব ধরলে বোলুয়ার্তে পেরুর ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৬ সালে হওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর প্রস্তাব, ২০২৪ সালের এপ্রিলে এগিয়ে আনা হোক এই নির্বাচন। এদিকে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাতে লেখা একটি চিঠি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো অভিযোগ করেছেন, বোলুয়ার্তের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নোংরা খেলা। সেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে তিনি দখলকারী হিসেবে কটাক্ষ করেছেন। আইনসভার উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান দেশের নতুন সংবিধান রচনা করা হোক। কাস্তিলোর বক্তব্য, তিনি কোনওভাবেই পদত্যাগ করবেন না। এই মুহূর্তে লিমার এক জেলখানায় (Penitentiary Center) আটক রয়েছেন কাস্তিলো। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের (Rebellion and Conspiracy) অভিযোগের তদন্ত চলছে। এখানে উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, মেক্সিকো এবং কলম্বিয়ার বামপন্থী সরকারেরা সোমবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে কাস্তিলোর মানবাধিকার এবং ন্যায়াধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।