ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের (Interim Government) অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam)। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘন্টাখানেক আগেই সেই খবর সম্প্রচার করেছিল কলকাতা টিভি। শোনা যাচ্ছে, আগামী শুক্রবার তিনি বাংলাদেশে (Bangladesh) একটি নতুন দল গঠন করতে চলেছেন তিনি। এর আগে সোমবার কক্সবাজারের বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এবার এই প্রেক্ষিতে বয়ান দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান (Waker-Uz-Zaman)।
এদিন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান (Bangladesh Army Chief) দেশবাসীকে সতর্ক করে সাফ জানিয়ে দেন যে, বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা যায় না। দেশের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এত বছর ধরে দেশ সুন্দর ভাবে চলেছে, এখন নৈরাজ্য চলছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে মারামারি, কাটাকাটি, কাদা ছোড়াছুড়ির জন্যই এই অবস্থা। সমাজ বিরোধীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে।” তবে এদিন তিনি সাফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, এই অবস্থা চলতে পারে না।”
আরও পড়ুন: উপদেষ্টার পদত্যাগ, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল?
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে যে, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে? এই প্রসঙ্গে বড় বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান। তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার তিনি বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।” এছাড়াও এদিন তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।”
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য দারুণ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কারণ অতীতে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ইতিহাস রয়েছে। তাই এই প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
দেখুন আরও খবর: